সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ টিটাগড়ে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসনে চারতলায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে দেওয়ালের একাংশ উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পাশের বাড়ির টালির চালও। জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই ছিল। সেখানে এদিন সকালে জোরাল বিস্ফোরণ হয়। ওই আবাসনেই তিনতলায় থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলর আরমান মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টিটাগড়ের ওই আবাসনটি। চারতলার একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ হয়। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও জানা যায়নি। এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এখনও ঘর থেকে বারুদের গন্ধ বের হচ্ছে।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ১০ ফুট বাই ৮ ফুটের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের ঝুপড়ির বাড়িগুলিও। ঘনবসতি এলাকায় হঠাৎ এই বিস্ফোরণে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, সোমবার বিকেলে পৌঁছবেন বাগডোগরা, যোগ দেবেন বাণিজ্য সম্মেলনে
প্রোমোটার জানিয়েছেন, ভোটের সময় কাউন্সিলর আরমান মণ্ডলকে এই ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন ব্যবহারের জন্য। তারপর আর তিনি ফেরত দেননি। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়েছিল। তিনি বলেন, “৪০-৪২টি ফ্ল্যাট আছে। এই ফ্ল্যাটটি আরমান মণ্ডলের কাছে দেওয়া ছিল। পরে চেয়েছিলাম, কিন্তু ফেরত পাইনি। চেয়ারম্যানের কাছে যেতে বলেছিলেন।”
অন্যদিকে কাউন্সিলর আরমান মণ্ডল বলেন, “প্রথমেই আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। খুব বাজে ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। সামনে নির্বাচন রয়েছে, বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করতে পারে”। প্রোমোটারের ফ্ল্যাট ফেরত না দেওয়ার অভিযোগের জবাবে বলেন, “আমি লোকজনকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিই, আমি ঘর নিই না। এতদিন অভিযোগ উঠল না, আজই কেন অভিযোগ করছে? মা-বোনদের জিজ্ঞাসা করুন আমার রেকর্ড কী। আমি কেন ঘর নেব। আমার ঘর নেই ওখানে। এটা কমিউনিটি হলের মতো পড়ে থাকত। লিফটের না লাগানোর জন্য বকা দিয়েছিলাম। আল্লাহর কৃপা যে কিছু হয়নি। টিটাগড়ে কোনও অশান্তি হয় না, সবাই শান্তিতে মিলেমিশে থাকে।”
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশি তারকাদের ছবি দেখব না’, শাকিবের ‘তাণ্ডব’ বয়কটের ডাক ভারতে
আবাসনটি যে জমির উপরে তৈরি, তাঁর মালিক বলেন, “ভয়ঙ্কর ঘটনা। আমরা সবাই ভীত। ভাগ্য ভাল কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। কে এমন করে গেল, জানি না।”
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, “ওই (তৃণমূল কাউন্সিলর) মজুদ করেছে। ব্যারাকপুর-কে শেষ করার জন্য পার্থ ভৌমিক ডাক দিয়েছে। গুণ্ডারাই কাউন্সিলর হয়ে গিয়েছে। জিহাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আনসারুল্লা বাংলার সঙ্গে কোনও যোগ থাকতে পারে। এরা বোমা মজুত রেখেছিল না বোমা বানাচ্ছিল, কে জানে। এনআইএ তদন্ত দরকার। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বা ব্য়ারাকপুর কমিশনারেটের উপরে ভরসা নেই। অমিত শাহজি, রাজনাথ সিং-জির কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি। সামনেই ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, প্রতিরক্ষা বিষয়ক কিছু হতে পারে। কোনও চক্রান্ত হতে পারে।”