বাংলাদেশে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন। তার আগেই শেখ হাসিনার ফেরার ভয় পাচ্ছে বিএনপি? খালেদা জিয়ার দলের দাবি, নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-কে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই টালবাহানা চলছিল। চাপের মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগেভাগে নির্বাচনে রাজি হয়েছে। তবে সেই নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমনটাই দাবি করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ দিন, ২৭ অগস্ট বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলছে। এমন দাবি তুলছে, যার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত নয়।”
আরও পড়ুনঃ এবার কি আপনার ডেস্টিনেশন দার্জিলিং? উৎসবের মরশুমে তিনটি নতুন টয়ট্রেন পরিষেবা
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ দিন মির্জা ফখরুল বলেন যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলেন, “একাত্তরের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা চলছে, কিন্তু সেটা ভোলা সম্ভব নয়।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন যে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, তার জন্য সরকারের ভিতরে একটা মহল সচেতনভাবে চেষ্টা করছে।
এরপরই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। বলেন, “এস আলম গ্রুপ ভারতে থাকা আওয়ামী লিগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। তারা পরিকল্পনা করছে কীভাবে ওই টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশে নির্বাচন বন্ধ করা যায় এবং শেখ হাসিনাকে আবার দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।”
আরও পড়ুনঃ কলকাতা ট্রাম ডাইনোসর হয়ে যাবে; অবস্থান স্পষ্ট করল সরকার
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন যে কোথাও বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। কোনও দল বড় ধরনের দাবি তুলে রাজপথে নামেনি, সরকারকে বিব্রত করেনি। সংস্কার শব্দের সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পরিচিত নন। তাদের এটা বোঝানো কঠিন। আবার কাকে ভোট দেওয়া হচ্ছে, সেটা জানা যাবে না।
বাংলাদেশে গত অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পরই বিএনপি ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুলেছিল। সেই জন্য সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছিল। সে কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি গণ অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হত, তবে অর্থনীতির বেহাল দশা হত না। নির্বাচিত সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অন্য শক্তিদের উড়িয়ে দিতে পারত। তিনি বলেন, “যখনই একটা পরিবর্তন হয়, সেই পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে নেয় অন্যরা।”



