Friday, 17 October, 2025
17 October
HomeকলকাতাGhost: বাড়ির উঠোনে হাড়! ভূত চতুর্দশীর আগে লিখলেন মানসী সিংহ

Ghost: বাড়ির উঠোনে হাড়! ভূত চতুর্দশীর আগে লিখলেন মানসী সিংহ

মনে হয় ছানা ভূতটি ভেবেছিল আরও একটা ছানাকে পেয়েছি। তাকেও নিজের কাছে যদি নিয়ে আসা যায়…

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

‘ভূত’ মানেই অদ্ভুত! যাদের আমরা আমাদের চেনা জগতের মধ্যে রাখতে পারি না। এই তেনাদের সঙ্গে আলাপ আমার ছোট থেকে। তখন অবশ্য বোধবুদ্ধি কিছুই হয়নি। কিন্তু একটু বড় হতে ফের এমন কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারলেও আমি নিরুত্তর।

আরও পড়ুনঃ খনখনে গলায় ভেসে এল ‘বাঁচতে চাইলে পালাও…’; কেন বললেন অতীন ঘোষ

একদম ছোটবেলা থেকেই শুরু করা যাক। তখন আমরা আনওয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা। ওখানে যে বাড়িতে আমরা থাকতাম, সেখানে নাকি একটি বাচ্চা মেয়ে মারা গিয়েছিল। আর তার হাড়গোড় পুঁতে রাখা হয়েছিল বাড়ির উঠোনে। মায়ের মুখে শুনেছি সেই বাচ্চাটিই নাকি আমার জামা পরে ঘুরে বেড়াতো বাড়িময়। যেমন ধরা যাক, আমি ঘুমোচ্ছি, অথচ আমার দিদা দেখছেন আমি নাকি হামাগুড়ি দিচ্ছি। আমার দাদুর বেশ সন্দেহ হয়। তার পর ভাঙাভাঙি করে পরে উদ্ধার করা হয় সেই বাচ্চাটির হাড়। মনে হয় ছানা ভূতটি ভেবেছিল আরও একটা ছানাকে পেয়েছি। তাকেও নিজের কাছে যদি নিয়ে আসা যায়…

এ তো গেল ছোট বয়সের কথা। একটু বড় হতেই শ্যুটিং করতে গিয়ে ফের অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী! আমার প্রথম ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলছে এনটি ১ স্টুডিয়োতে। তখন রাতভর শ্যুটিং। ছুটির তেমন গল্প নেই। এরমই এক রাতে আমি একা এক নম্বর মেকআপের ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে স্নানঘরে গিয়েছি। বেরিয়ে দেখি মেকআপ ঘরের আলো বন্ধ। প্রথমে ভাবলাম ঘরে কেউ নেই দেখে কি আলোটা নিভিয়ে গিয়েছে কেউ?

আরও পড়ুনঃ ভৌতিক অভিজ্ঞতা! ‘কেউ দরজা খুলছে, বিছানায় এসে বসল…’, ভূতচতুর্দশীর আগে বামনেত্রী দীপ্সিতা

যেই না ঘর থেকে বেরোতে গিয়েছি, একটা অদ্ভুত অনুভূতি হল। নীচে তাকিয়ে দেখি আমার পায়ের পাশে আরও একজনের ছায়া। ঠিক যেন কেউ আমার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই। কিন্তু ছায়াটি একপ্রস্থও নড়েনি। তখন আমার অল্প বয়স, পায়ে ব্যথা নেই। পড়ি কি মরি করে রুদ্ধশ্বাসে ওই অন্ধকার সাজঘর থেকে পালিয়ে আসি। পরে সেটে আমাকে অনেকেই বকাঝকা করেছিলেন যে কেন আমি একা একা গেলাম সেখানে। কিন্তু আমি তো এ সব কিছু জানতামই না। পরে সবার সঙ্গে যখন ওই সাজঘরের সামনে এলাম, দেখি যেমন আলো জ্বালানো ছিল, তেমনই জ্বলছে। আমাকে বোঝানো হল আর যেন কোনওদিন একা না যাই কোথাও।

খন্যান রাজবাড়িতেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। কাজেই আত্মাকে অস্বীকার করার আমার কাছে কোনও রাস্তাই নেই। আমি অনুভব করতে পারি অনেক কিছু। আর এই ধারণাটা আরও স্পষ্ট হয় যে বছর আমার শ্বশুর-শাশুড়ি মারা গেলেন। মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে দু’জনেই চলে যান। কিন্তু তাঁদের উপস্থিতি বাড়িতে প্রতি মুহুর্তে আমি টের পেতাম। গা-হাত ভারী হয়ে আসত। মনে হত পা যেন চলছেই না। পুরো ঘটনাটা একজনকে জানিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাৎসরিকের পর এই অনুভূতিটা আর থাকবে না। আর সত্যিই তাই! এক বছর পর আর বাড়িতে তাঁদের উপস্থিতি অনুভূত হয়নি। আমি আত্মাকে অবিশ্বাস করি না। আর সেই জন্যেই বোধ হয় তাঁরাও মনে করেন যাই, এই মেয়েটাকে একটু দেখা দিই… তবে অবশ্য এটা বিশ্বাস করি যে আমার বাবা-মা তো গত হয়েছেন। তাঁরা রয়েছেন আত্মাদের দেশে। তাই তাঁরা থাকতে কোনও দুষ্টু ভূত আমার ক্ষতি করতে পারবে না। বাবা-মা ঠিক শাস্তি দিয়ে দেবেন…

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন