Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
HomeটেলিকমBSNL: চ্যালেঞ্জের মুখে Jio-Airtel-Vodafone Idea! ১৭ বছর পর লক্ষ্মীলাভ BSNL-র

BSNL: চ্যালেঞ্জের মুখে Jio-Airtel-Vodafone Idea! ১৭ বছর পর লক্ষ্মীলাভ BSNL-র

র্তমানে বিএসএনএল তার ৩ প্রতিযোগীর মনে রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

১৭ বছর ধরে ক্রমাগত ক্ষতির মুখ দেখতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রথম লাভের মুখ দেখে। ওই ত্রৈমাসিকে সংস্থার নিট মুনাফা ছিল ২৬২ কোটি টাকা। তারপর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে আবারও লাভের মুখ দেখে এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা। আর শেষ ত্রৈমাসিকে সংস্থার নিট মুনাফার পরিমাণ আগের তুলনায় আরও খানিকটা বেড়ে হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: দুধ এত মহার্ঘ? প্রতি লিটার দুধের দাম ৫০০০ টাকা!

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের আগে শেষবার ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষে লাভের মুখ দেখেছিল সংস্থাটি। তারপর সেখান থেকে লোকসান হতে হতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে সরকার এই সংস্থাটিকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করে। ২০১৯ সালে বিএসএনএল কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছিল সরকার যদি সাহায্য না করে তাহলে তাদের পক্ষে সংস্থার কর্মীদের মাইনে দেওয়া খুবই কঠিন হবে। কিন্তু তারপর ৫ বছর যেতে না যেতেই দেখা গেল উলটপুরাণ।

বিএসএনএলের পতনের কারণ হিসাবে বলা যায় সেই সময়ের সরকারি নীতি। ৪জি পরিষেবার যুগে বিএসএনএল তার গ্রাহকদের ৩জি পরিষেবা দিত, কারণ ৪জি স্পেকট্রামের নিলামে অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল না এই সংস্থার। অন্যদিকে, ততদিনে বাজারে এয়ারটেল, ভোডাফোন বা জিও মতো সংস্থা জাঁকিয়ে বসেছিল। যাদের কাছে ৪জি স্পেকট্রাম ছিল ও যারা ৫জি পরিষেবা দিতেও প্রায় তৈরি ছিল।

আরও পড়ুন: ধ্রুব যোগের সঙ্গে অশ্লেষা নক্ষত্র, ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এই চার রাশির

বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রথমত, সংস্থার কর্মী হ্রাস করা শুরু হয়। ২০১৯-এর পর অনেক প্রবীণ কর্মচারী ভিআরএস নিয়ে নেয়। ২০২২ সালে সংস্থার ৪জি নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্র। তারপর ২০২৩ সালে ৪জি ও ৫জি স্পেকট্রাম কেনার জন্য কেন্দ্র আরও ৮৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করে বিএসএনএলের জন্য। তারপরই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্থাটি ৬২ হাজারেরও বেশি ৪জি টাওয়ার চালু করে। ফলে, সংস্থার পরিষেবাতেও দারুণ উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন-আইডিয়ার তুলনায় বিএসএনএলের কম দামের প্যাকেজও ভারতীয় গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে। আর এভাবেই বিএসএনএলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রায় অসম্ভব গল্প সম্ভব হয়েছে। আর বর্তমানে বিএসএনএল তার ৩ প্রতিযোগীর মনে রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন