কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজী? কিন্তু বাস্তবে ধুপগুড়িতে হচ্ছে ঠিক উল্টো। আপাতত এটাই ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ধূপগুড়ির ভাণ্ডারকুড়া গ্রামের বিয়ের যোগ্য তরুণ–তরুণীদের। একেবারে জঙ্গলের কোলে জেগে ওঠা একটা গ্রাম। গাছপালা একেবারে ঘিরে রেখেছে আলতা ২ নং পঞ্চায়েতের এই গ্রামকে।
আরও পড়ুন: Upendra Rao’s UI Movie: উপেন্দ্র রাও-এর ‘UI’ মুক্তির দিনেই পাইরেসির শিকার
পাশেই জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জ। সেখান থেকে যখনতখন হাতি চলে আসে। সবুজ ভেদ করে বেরিয়ে আসে পাহাড়ের মতো প্রাণীর দল। কখনও ঘুরতে–ঘুরতে ঢুকে পড়ে গ্রামে, কখনও বা খাবারের খোঁজে। ঘরে হানা দেয় অহরহ। ফলে সব সময়ে ত্রস্ত হয়ে থাকেন গ্রামবাসীরা। রাত বাড়লে আতঙ্ক বাড়ে। ছায়াকেও যেন ভয় লাগে!
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: সত্যিই কি তারা ওই প্রতি কি তালা ঝোলাতে পারবেন
এই বুঝি কালো পাহাড় হাজির হবে বাড়ির উঠোনে। দিনের পর দিন এই ভাবেই চলছে। সবকিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে, খাবার ব্যবস্থা প্যান্ডেল, কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। নেপথ্যে সেই হাতি। কখন এসে পড়বে , আর কখন সবকিছু তছনছ করে চলে যাবে, এই ভয়ে আতঙ্কে সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠানকে বাতিল করছেন তারা। কারা জানিয়েছেন বলবো তোর অবস্থা ভালো চাকরিরতা, কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। কখন হাতি আসবে। তবে গ্রামবাসীদের একটাই প্রশ্ন, দিনের পর দিন ঠিক এইভাবেই চলবে? না পরিবর্তন হবে, সেটা আপাতত সময় বলবে।