Thursday, 1 May, 2025
1 May, 2025
Homeরাজ্যKolkata: আধাসেনা নামানো হবে প্রয়োজনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে; হুঁশিয়ারি বিচারপতি সিনহার

Kolkata: আধাসেনা নামানো হবে প্রয়োজনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে; হুঁশিয়ারি বিচারপতি সিনহার

এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আরও কড়া কলকাতা হাই কোর্ট। বিধাননগর পুরনিগম এলাকার একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আধাসেনা নামানোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই নির্মাণ ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তার প্রেক্ষিতেই এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতির মন্তব্য, “আদালত জানে কী করে তার নির্দেশ কার্যকর করাতে হয়।” এদিকে, শ্রীরামপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একের পর এক বাড়িতে ফাটলের আতঙ্কে প্রহর গুনছেন বাড়ির বাসিন্দারা। সেই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে তথ্য গোপন করার অভিযোগে প্রোমোটারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: Murder At Howrah: ভিন্‌রাজ্যের শ্রমিককে চেয়ার কারখানার ভিতরে কোপানো হল

জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত শান্তিনগরে একটি অবৈধ বহুতল ভাঙতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু, কার্যকর হয়নি আদালতের সেই নির্দেশ। চাপানউতোরের মধ্যেই দায়ের হয়েছে আদালত অবমাননার মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলায় অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে নোটিশ দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে, শ্রীরামপুরের মামলায় আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর অভিযোগ, হুগলির শ্রীরামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসসি ঘোষ লেনের একটি বেসরকারি আবাসন নির্মাণ শুরু হতেই তার পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নির্মাণ কার্যের পাশেই বাড়ি দেবপ্রসাদ বসাক আদালতে অভিযোগ করেন, এই নির্মাণ কার্যের ফলে তার বাড়ির বিভিন্ন অংশে একাধিক ফাটল ধরতে শুরু করেছে।এ বিষয়ে শ্রীরামপুর পৌরসভাকে অভিযোগ জানান হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও তার অভিযোগ। ২০২৪ সালের এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন অবিলম্বে পৌরসভাকে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। পরে এনিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়।

আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়িতে ছেয়ে গেছে চীনা রসুন

এদিকে, এই মামলার শুনানিতে পুরনিগমের তরফে আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে ৩৩০টি সন্দেহজনক নির্মাণের খবর এসেছিল। নির্মাতাদের কাছে বৈধ নথিও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই নথি হাতে না আসায় চাপানউতোর চলছিলই। তারমধ্যেই এবার কড়া অবস্থান আদালতের। প্রসঙ্গত, বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ের পর শহরের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার উঠে আসতে থাকে হেলা বাড়ির ছবি। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে বিস্তর চাপানউতোর। কলকাতা পুরনিগমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সেই আবহে আদালতের এই কড়া অবস্থান বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন