পূর্ব বর্ধমানের রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন যুব তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি, আইনজীবী শুভেন্দু দাস। এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উত্তপ্ত ৬ নম্বর দমদম রোড, শান্তনু বনাম অতীন; কাকলি সেনের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাকে চড় মারার অভিযোগ
এই পরিস্থিতিতে দলবিরোধী কাজের দায়ে শুভেন্দুকে বহিষ্কার করেছে শাসকদল। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুভেন্দুকে আজীবন তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ দাবি করেছিলেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলার ছক কষেছিল। তিনিই আক্রান্ত হতে পারতেন। বিধায়কের এই দাবিকে হাতিয়ার করেই বুধবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘যেখানে বিধায়ক নিজেই আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ আদৌও নিরাপদ কি না সন্দেহ রয়েছে। বিধায়কের এই আশঙ্কার পর আর পুলিশের প্রতি আস্থা রাখা যায় না। তাই এলাকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি উচ্চ আদালতের কাছে এনআইএ তদন্ত চেয়ে আবেদন রেখেছি। বড় বিস্ফোরণ হয়েছিল। এক জন মারা গিয়েছিলেন। অনেকে আহত হন। একটা বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। আমি মনে করি এটা ছোটখাটো ঘটনা নয়।’’
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার হাওয়া তরুণীদের ফোনে হুমকি; আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাদের পরিবারে
হাই কোর্টে মামলার কথা শুনে রবীন্দ্রনাথ অবশ্য জানান, তাঁর পুলিশের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিধায়কের কথায়, ‘‘শুনেছি যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা করেছেন। কিন্তু আমার পুলিশের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করছে। উনি কেন এই ধরনের মামলা করলেন জানি না। আমি দলকে জানাব।’’ ঠিক তার পরেই সন্ধ্যায় শুভেন্দুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আবার বুধবারই রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তুফান চৌধুরীর বাড়ি থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং দু’কেজি বোমার মশলা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।