সব বদলায়। কিন্তু কলকাতা ফুটবল বদলায় না। কলকাতা ফুটবল যে আজও মান্ধাতা আমলে পড়ে রয়েছে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। পঞ্চম ডিভিশন হোক আর প্রিমিয়ার, অব্যবস্থা চূড়ান্ত। মেডিকেল টিম থাকলেও চোট পাওয়া ফুটবলারের শুশ্রূষা হল না ঠিক ভাবে। কোনও ছোট ম্যাচের দৃশ্য নয় এটা। মোহনবাগানের মতো বড় টিমের ম্যাচে দেখা গেল এমন করুণ ছবি। যা যথারীতি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএফএ-কে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞপ্তি জারি; হাজিরা বাধ্যতামূলক, ৯ জুলাই বনধে ছুটি নয়
ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে ছিল মোহনবাগান ও রেলওয়ে এফসির ম্যাচ। দুটো টিমের খেলা যথেষ্ট উত্তেজক ছিল। চারটে লাল কার্ডও দেখেছে দুই দলের ফুটবলাররা। বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলতে গিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান রেলের তারক হেমব্রম। তাঁর চোটের চিকিৎসা করার জন্য এগিয়ে আসেন আইএফএ-র মেডিকেল টিমের সদস্যরা। কিন্তু তারকের পায়ে বাঁধার জন্য শক্ত কিছু ছিল না। অবাক করে চিকিৎসকরা বাঁ হাটুর দু’পাশে ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধেন। এই অবাক করা ছবি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। ফুটবলের মতো শারীরিক খেলায় চিকিৎসকরা এমন চোটের জন্য শক্তপোক্ত কিছু পেলেন না?
আরও পড়ুন: জোড়া বাইসনের আক্রমণে জখম ছয়
খুব স্বাভাবিক ভাবে তারকের এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কে পড়েছে আইএফএ। সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, ‘ওই সময় পায়ে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কিছু দ্রুত দরকার ছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। তাই হাতের কাছে ছাতা পেতে তা দিয়েই ব্যান্ডেজ বাঁধা হয়েছে। যাতে ওই ফুটবলার খানিকটা রিলিফ পায়। যে টিমের খেলাই হোক না কেন, টিমের সঙ্গে চিকিৎসক, ফিজিও থাকাটা বাধ্যতামূলক। রেলের সঙ্গে মেডিকেল টিম ছিল কিনা, খোঁজ নেব। তবে রেলের ওই ফুটবলার চোট পেতেই মোহনবাগানের চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেন।’ পরে ব্যারাকপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তারক হেমব্রমকে।