Tuesday, 14 October, 2025
14 October
HomeকলকাতাKolkata: আজ ২৪ অগাস্ট; সত্যিই কি আজ তিলোত্তমা কলকাতার জন্মদিন!

Kolkata: আজ ২৪ অগাস্ট; সত্যিই কি আজ তিলোত্তমা কলকাতার জন্মদিন!

২৪ অগস্ট তারিখটি জব চার্নকের সুতানুটি পদার্পনের দিন হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ হলেও দিনটি শহর কলকাতার জন্মদিন নয় এবং চার্নক তার জনকও নন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

  • মুঘল বাদশাহ আওরাঙ্গজেবের আমন্ত্রণে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠিয়াল জব চার্নকের তৃতীয় বারের জন্য সুতানুটির ঘাটে বজরা নোঙর করবার দিনটি থেকে কলকাতার পত্তন বলে কেউ কেউ মনে করেন।
  • দিনটি ছিল ১৬৯০-এর ২৪ অগস্ট।
  • এর আগে আরও দু’বার তিনি এসেছেন এই জায়গায়, আবার চলেও গিয়েছেন অন্যত্র।
  • মুঘল বাদশাহ আওরাঙ্গজেবের আমন্ত্রণে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠিয়াল জব চার্নকের তৃতীয় বারের জন্য সুতানুটির ঘাটে বজরা নোঙর করবার দিনটি থেকে কলকাতার পত্তন বলে কেউ কেউ মনে করেন। দিনটি ছিল ১৬৯০-এর ২৪ অগস্ট। এর আগে আরও দু’বার তিনি এসেছেন এই জায়গায়, আবার চলেও গিয়েছেন অন্যত্র। প্রথম ১৬৮৬-র ডিসেম্বরে, তার পর ১৬৮৭-র নভেম্বরে। কিন্তু এই তৃতীয় বা শেষ বারের আসাটাকে তিনি স্থায়িত্ব দিলেন, অর্থাৎ পাকাপাকি ভাবে এখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অনেকের মতে যা নাকি শহর কলকাতার সূর্যোদয়ের মুহূর্ত। সত্যিই কী তাই! এর আগে যে দু’বার তিনি এসেছিলেন, মুঘলদের সঙ্গে বিরোধের কারণে তা স্থায়ী হয়নি। কিন্তু, ইংরেজরা না থাকায় মুঘলদের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছিল তাই ১৬৯০-এর ২৩ এপ্রিল আওরাঙ্গজেব এক আদেশনামায় বার্ষিক তিন হাজার টাকা শুল্কের বিনিময়ে ইংরেজদের আবার বাংলায় বাণিজ্য করার অনুমতি দিলেন। জুলাই নাগাদ মাদ্রাজের সেন্ট জর্জেস থেকে প্রিন্সেস জাহাজে চড়ে চার্নক-বাহিনী রওনা দিল বাংলার উদ্দেশ্যে। আর ২৪ অগস্ট ১৬৯০, এক বৃষ্টিমুখর দিনে জলকাদা মাড়িয়ে জব চার্নক এসে নামলেন সুতানুটির ঘাটে।
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এই তৃতীয়বারের সুতানুটি আগমন স্থায়ী হলেও তা কিন্তু কোনও মতেই একটা শহরের পত্তন নয়। তাছাড়া চার্নক যেখানে আস্তানা গড়েছিলেন সেটা ছিল সুতানুটি, কলকাতা নয়। কাছাকাছি বস্ত্র ব্যবসার উপযোগী সুতো ইত্যাদি সামগ্রীর হাট থাকায় চার্নকেরা জায়গাটা বেছে নিয়েছিলেন নিছকই ব্যবসার কাজের সুবিধের জন্য, শহর প্রতিষ্ঠার মানসে নয়। এখানে আসার কিছুকাল পরেই, ১৬৯৩-এর ১০ জানুয়ারি চার্নকের মৃত্যু হয় সুতানুটিতেই।

চার্নকের মৃত্যুর পরে কোম্পানির কর্তারা কোম্পানির কমিশরি জেনারেল এবং কুঠিগুলির চিফ গভর্নর জন গোল্ডসবেরাকে সুতানুটি পাঠালেন সেখানকার হাল ধরতে। তিনি এসে সুতানুটির অবস্থা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে মাদ্রাজ থেকে চার্নকের জামাই চার্লস আয়ারকে ডেকে এনে কুঠির দায়িত্ব দিলেন। শুধু তাই নয় ওই গোল্ডসবেরাই সুতানুটি থেকে কুঠি তুলে নিয়ে গেলেন পার্শ্ববর্তী কলকাতা গ্রামে। হুগলি নদীর তীরে, তাঁরই পছন্দ করা জায়গায় ১৬৯৩-এর অগস্ট থেকে নভেম্বর মাসের কোনও এক সময়ে সূচনা হল কোম্পানির কুঠিবাড়ি তৈরির প্রথম পর্ব, যা পরবর্তীকালের প্রথম ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ। তাই ২৪ অগস্ট তারিখটি জব চার্নকের সুতানুটি পদার্পনের দিন হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ হলেও দিনটি শহর কলকাতার জন্মদিন নয় এবং চার্নক তার জনকও নন।

আরও পড়ুনঃ কলেজপাড়ায় পাইপ ফাটিয়ে তাপ্পি, ক্ষুব্ধ পুরনিগম

কলকাতা শহরের প্রকৃত নগরায়ণ আরম্ভ হয় পলাশির যুদ্ধের (১৭৫৭) পর থেকে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বাংলার শাসন ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ায় সমগ্র পূর্ব ভারতের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠে কলকাতা। বাংলার তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এখানে আসতে আরম্ভ করে জীবিকার তাগিদে। গ্রামগুলি মিলেমিশে ক্রমে রূপান্তরিত হয় কলকাতা শহরে।

আরও পড়ুনঃ পেটে খিদের জ্বালা; ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর উপর ফের ইজরায়েলি সেনার গুলি

কলকাতার রাজস্ব আদায়কারী আদি জমিদার-পরিবার রায়চৌধুরীদের ২০০১ সালে দায়ের করা একটি মোকদ্দমার (WP No. 1484 of 2001) সুবাদে কলকাতার মহামান্য উচ্চ আদালতের তৎকালীন প্রধান-বিচারপতি অশোককুমার মাথুর ও বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসু, বরুণ দে, প্রদীপ সিংহ, অরুণ দাশগুপ্ত ও সুশীল চৌধুরীকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেন কলকাতা শহরের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে, তা খুঁজে বের করবার জন্য। ওই কমিটির পেশ করা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ২০০৩-এর ১৬ মে বিচারপতিরা রায় দেন, “কলকাতার কোনও নির্দিষ্ট জন্মদিন নেই, তাই কলকাতার কোনও প্রতিষ্ঠাতাও নেই।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন