বুধবার সকালেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও আধিকারিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাতের দিকে প্রকাশিত হয় খবর, মুখ্যমন্ত্রী নাকি নিজে হাতে এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন বিএলও-র কাছ থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই সেই দাবি খারিজ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, খবরটি “সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার”।
আরও পড়ুনঃ ২১ নম্বর আর এন মুখার্জি রোড, ঘিঞ্জি এলাকা, ধোঁয়ায় দৃশ্যমানতা শূন্য; ডালহৌসিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
মুখ্যমন্ত্রী পোস্টে লিখেছেন, “গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত BLO আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে, আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে রেসিডেন্সের ক’জন ভোটার জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গেছেন। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না।”

তাঁর বক্তব্য, কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল খবর ছড়াচ্ছে— যে, তিনি নাকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে ফর্ম নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।”
গত বুধবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বুথ লেবেন অফিসাররা। মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্টে প্রশাসনিক স্তর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে ভুয়ো খবর নিয়ে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, এসআইআর এর নাম করে বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপির নির্দেশেই এই কাজ করছে কমিশন। এই অভিযোগে মঙ্গলবার কলকাতা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ‘ঘরের ভিতর ঢুকে দেখি উলঙ্গ অবস্থায়…’, হুগলির তাঁতিশালে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ
তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর নামে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জোড়াসাঁকোর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, এসআইআর হোক, কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো করে কাজ করা হচ্ছে তাতে প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে।
শাসক শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূল এসআইআরের বিরোধী নয়। ২০০২ সালে প্রায় আড়াই বছর ধরে এসআইআর হয়েছিল। এবারে সেই প্রক্রিয়া কমিশন মাত্র দু’ মাসে সারতে চাইছে। যা থেকে স্পষ্ট, বারবার বাংলা দখলের স্বপ্ন ব্যর্থ হওয়ায় এসআইআর এর নাম করে এবারে বাংলার কয়েক কোটি প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে রাজ্য দখলের চেষ্টা করছে পদ্মশিবির।
অভিষেক ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলনের ঢেউ নিয়ে যাবেন। আরও একধাপ এগিয়ে মোদী সরকার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।





