এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরেই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের । কারণ তাঁরাই দুর্নীতি করেছেন। শুধু তাই নয়, বিকাশের এও বক্তব্য ছিল, দুর্নীতি মানে দুর্নীতিই, তাতে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যায় না।
সংবাদমাধ্যমে তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে একের পর এক নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তাঁরা এই নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে পুলিশের গাড়িতে আগুন, জঙ্গিপুরে ধুন্ধুমার
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই মন্ত্রীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কেউ কেউ ইচ্ছেমতো তাঁদের নামে সোশ্যাল সাইটে লিখে যাচ্ছে। এমন কিছু লেখা হচ্ছে যার কোনও মাথামুন্ডু নেই, যুক্তিহীন।’
কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ মমতার। আবার কেউ কেউ দিলেও, সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনভাবে সক্রিয় নন। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের মন্ত্রীদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘আমি বারবার বলছি, আপনারা সোশ্যাল সাইটে সক্রিয় হন, উত্তর দিন।’
বিষয়টি নিয়ে তিনি যে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন এদিন।
আরও পড়ুন: ‘মমতার বৈঠক ভাঁওতা, আন্দোলন না করলে ডুবে মরতে হবে’, চাকরিহারাদের বার্তা অভিজিতের
২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের দাবিতে আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ওই মামলায় গত বছর পুরো প্যানেলটাই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। এই ইস্যুতে আগেই তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। নবান্নর সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেছিলেন, ‘তিনি তো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ল ইয়ার! উনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না জানি না! পাওয়া উচিত! ভাবছি একটা রেকমেন্ডেশন করব!’
বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে বিজেপি-সিপিএম এই যোগসাজশ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘আমি বিশ্বাস করি সিপিএম-বিজেপি যৌথভাবে এই কাজটা করিয়েছে। এর প্রভাব ওরা আগামীদিনে আরও ভালভাবে পাবে!’
এবার দলের সকলকে এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিলেন মমতা।