Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeদক্ষিণবঙ্গEgra: জনরোষ! পরপর থাপ্পড়, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি; বাংলায় ফের আক্রান্ত পুলিশ

Egra: জনরোষ! পরপর থাপ্পড়, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি; বাংলায় ফের আক্রান্ত পুলিশ

বারংবার কেন জনরোষের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশকে? প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি। পরপর থাপ্পড়। বাংলায় ফের আক্রান্ত পুলিশ। তাও আবার থানার অনতিদূরেই। মঙ্গলবার সাতসকালে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। কিন্তু কীভাবে তৈরি হল এই পরিস্থিতি? বারংবার কেন জনরোষের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশকে? প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলের কর্মসূচিতে হঠাৎ বদল! মিরিকে যাচ্ছেন না মমতা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিশুমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল এগরা মহকুমা হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকদের দিকে অভিযোগের তির বিঁধেছিল পরিবার। সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট মহকুমা হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা।

হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় নিহত শিশুর পরিবারকে। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই প্রাণ হারিয়েছে এক রত্তি। ভোরবেলায় অসুস্থ শরীর নিয়ে ওই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও, গুরুত্ব দেননি চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুনঃ হুগলির তারকেশ্বরের ‘ছেলে কালী’! খেলার ছলে শুরু পুজো পেরিয়েছে ১০০ বছর

পারদ চড়ে মুহুর্তে। এক রত্তি প্রাণ হারাতেই তৈরি হয় তুলকালাম পরিস্থিতি। প্রথমে বিক্ষোভ, পরে তা নিমেষে পরিণত হয় সংঘর্ষে। মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের উপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় স্থানীয় এগরা থানার পুলিশ। বলে রাখা প্রয়োজন, ওই মহকুমা হাসপাতাল থেকে এগরা থানার দূরত্ব মাত্র দু’কিলোমিটার। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ক্ষোভ উগড়ে দেয় পরিবার। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ কর্মী। তখনই বিক্ষুব্ধদের রাগ পড়ে ওই তাঁর উপর। প্রথমে উর্দি ধরে টান, তারপর থাপ্পড়। রাস্তায় ফেলে পেটানো হল ওই পুলিশ কর্মীকে। ছিঁড়ে দেওয়া হল উর্দিও।

ইতিমধ্যে এগরা থানার পুলিশ এসে ওই আহত পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে পলাতক তাঁরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘উর্দি আক্রান্ত হচ্ছে কারণ, ওরা সম্মান রাখতে পারেনি। তবে আমার উর্দি আক্রান্ত হয়েছে, এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিশুমৃত্যু। এ রাজ্যে বেঁচে থাকাটা কঠিন। কী কারণে এমন ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন