বন্যাবিধ্বস্ত চিনের বেজিং। গত কয়েক দশকে এত খারাপ পরিস্থিতি হয়নি সেখানে। ঘরছাড়া ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জরুরি অবস্থা জারি করেছে চিন সরকার। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩০টিরও বেশি গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুনঃ অবহেলিত বিদ্যাসাগর! আরামবাগে ঈশ্বরচন্দ্রের গলায় কেউই দিলেন না মালা! চাপানউতোর শুরু রাজনৈতিক মহলে
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত চিনের রাজধানী বেজিং। এখনও পর্যন্ত সেখানে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের নিচু এলাকাগুলি থেকে ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেজিংয়ের মিয়ুন এবং ইয়াংকিং জেলা। বেজিং লাগোয়া ১৩০টিরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যাবতীয় পদক্ষেপ করছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন। চিনের সিসিটিভি নিউজ় জানিয়েছে, সড়ক, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন ইউয়ান (৭৬.৭ মিলিয়ন ডলার) তহবিল ঘোষণা করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, দোকান এবং সরকারি কার্যালয়। ভারী বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের ৩১টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামতির পর কিছু রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনও ১৬টি রাস্তায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বাকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি চললে মেরামতির কাজ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মোহনবাগান দিবসের জমকালো অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট, মধ্যমণি ‘রত্ন’ টুটু বোস
চিনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত বেজিংয়ে ১৬৫.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বেজিংয়ের মিয়ুন জেলার দু’টি এলাকায়। ওই এলাকাগুলিতে ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বেজিংয়ের বহু জায়গাতেই সোমবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত (স্থানীয় সময় পর্যন্ত) ৯৫.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।