বিরল এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন বিহারের সীমান্ত শহর জয়নগরের মানুষজন। টানা কয়েকদিন পরিষ্কার আবহাওয়া থাকায় হঠাৎ করেই দেখা গেল এভারেস্ট।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে এসব কি হচ্ছে! তুফানগঞ্জে ঝাউকুঠি ও ঝলঝলি দিয়ে গোরু পাচারের তৎপরতা বাড়িয়েছে পাচারকারীরা
নেপালের সীমান্ত সংলগ্ন কমলা নদীর তীরে অবস্থিত জয়নগর শহর। এই নদীর উৎপত্তি নেপালের এক হিমবাহ থেকে। মানচিত্রে দেখা যায়, শহরটির অবস্থান এমনভাবে যে, একদম সরলরেখায় পড়ে মাউন্ট এভারেস্ট। ফলে, যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে, দূষণ তেমন থাকে না বা কুয়াশার দাপট দেখা যায় না, তখন এভারেস্ট স্পষ্টভাবে ধরা দেয় জয়নগরের আকাশসীমায়।
স্থানীয়রা জানান, এই বিরল দৃশ্য সাধারণত বছরে দু’বার সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়, এক চৈত্র-বৈশাখের সময়, অর্থাৎ সরস্বতী পুজো থেকে দোল ও রামনবমী পর্যন্ত, এবং আবার আশ্বিন-কার্তিকের সময়, দুর্গাপুজো থেকে কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত। এই সময় আকাশ সবচেয়ে পরিষ্কার থাকে।
আরও পড়ুনঃ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার বাড়তি পাওনা আরও একটা দিন! সৌজন্যে দুই পঞ্জিকা
জয়নগরের উঁচু জায়গাগুলো বা বহুতল কিংবা কমলা নদীর উপর তৈরি ব্যারেজের দিক থেকেও দেখা যায় এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সূর্যোদয়ের সময় হিমালয়ের শৃঙ্গগুলো কখনও তামাটে, কখনও সোনালি, কখনও রুপোলি রঙে ঝলমল করে ওঠে। আর সূর্যাস্তের সময় সেই রুপোলি আলো ধীরে ধীরে সোনালি, তারপর তামাটে হয়ে মিলিয়ে যায় গোধূলির আকাশে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, জয়নগরই নেপালের একমাত্র রেললাইনটির সূচনা কেন্দ্র। নেপালের জনকপুর থেকে বহু যাত্রী প্রতিদিন এই শহরে এসে ট্রেনে ওঠেন। তাঁরাও এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন। শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।