স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রথা মেনে রাজভবনের চা চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে পৌঁছে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গেল বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী উষা উত্থুপকেও। তাঁদের সকলকে করজোড়ে স্বাগত জানান সস্ত্রীক রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরপরই রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রাজভবনে হাজির হন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের স্বাভাবিক সৌজন্য বিনিময় হয়। প্রতি বছরের মতো এবছরও ছোটখাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাজভবনে।
আরও পড়ুনঃ নার্সিং ছাত্রীর দেহের ‘দখল’ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের সামনে BJP-CPIM হাতাহাতি
প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজভবনে চা চক্রে আমন্ত্রিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণ থাকে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরও। প্রথা মেনে মুখ্যমন্ত্রীও চা চক্রে যোগ দেন। তবে মাঝের কয়েকটা বছর বিশেষত জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন সৌজন্যবশত ১৫ আগস্ট বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন গেলেও নবান্ন-রাজভবনের সংঘাত চাপা থাকেনি। গত বছর সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলে সেসময়ও সমস্যা তৈরি হয়। সেবার পুলিশ ব্যান্ডকে রাজভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিমানে চা চক্রে যোগ না দিয়েই ফিরে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ শান্তিপুরে অলৌকিক কাণ্ড! আগুনে ছারখার স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ, তবু অক্ষত তেরঙ্গা
এবার অবশ্য তেমন অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। বরং এদিন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবদের হাসিমুখেই স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বর্ষীয়ান প্রতিনিধিদের সঙ্গেও স্বাভাবিক সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গেল।