কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
যাওয়ার কথা ছিল মিরিকে। কিন্তু তা আপাতত হচ্ছে না। মঙ্গলবার বদলে গেল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সফরসূচি। মিরিক ছেড়ে তিনি এবার যাবেন সুখিয়াপোখরিতে। লাগাতর বৃষ্টি, ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দার্জিলিঙের এই এলাকা। তাই নিজের সফরসূচিতে ‘লাস্ট মিনিটে’ বদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ বাঙালি ‘কম্পিউটর’ রাধানাথের বদলে নাম হল এভারেস্টের! গণিতে দক্ষতা প্রশ্নাতীত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কার্শিয়াং থেকে সড়কপথে ওই এলাকায় যাবেন তিনি। যোগ দেবেন সেখানকার ত্রাণ শিবিরে। ত্রাণ বিলির পাশাপাশি বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে চাকরির নিয়োগপত্র। তারপর সেখান থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবেন দার্জিলিঙে।
সোমবারও বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিলির কাজে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় গিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেখানে বিপর্যয়ে নিহত দশ জনের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। মঙ্গলবারই এই ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবে তাঁরা। জিটিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিপুল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের জেরে পাহাড়ে মোট ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিন সেই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্টটি মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পেশ করতে পারেন খোদ বর্তমান জিটিএ প্রধান অনীত থাপা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয়বার উত্তরবঙ্গ সফর যে শুধুই বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এমনটা মোটেই নয়। সম্ভবনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বৈঠক নিয়েও। সামনেই নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের সমীকরণ তৈরি হতে পারে মমতার সফরের মধ্যে দিয়েই। সূত্রের খবর, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক কারবারিরা। সফরের ফাঁকে কোনও বৈঠক আয়োজন হয় কিনা, সেই দিকেই নজর তাঁদের।