Saturday, 2 August, 2025
2 August, 25
HomeদেশCoimbatore: ঋতুস্রাবের জন্য ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করলো...

Coimbatore: ঋতুস্রাবের জন্য ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করলো স্কুল!

Principal-এর নির্দেশেই তাকে বাইরে বসতে হয়েছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

নিজস্ব সংবাদদাতা: কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে উঠল অমানবিক অভিযোগ। ঋতুস্রাব চলাকালীন ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে বসিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পোলাচ্চির কাছে সেঙ্গুট্টাইপালায়মের একটি ম্যাট্রিকুলেশন স্কুলে।

ছাত্রীর মায়ের করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও তদন্তের দাবি।

জানা গেছে, এই সপ্তাহে দুটি পরীক্ষা থাকায় ছাত্রীর অভিভাবকরা তার সুবিধার জন্য ক্লাসের ভেতরে একটি আলাদা ডেস্কের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সোমবার তাকে ক্লাসের বাইরে সিঁড়িতে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে বলা হয়। বুধবার অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে আবারও দেখেন, মেয়েটি সিঁড়িতে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছে! ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, Principal-এর নির্দেশেই তাকে বাইরে বসতে হয়েছে।

মেট্রিকুলেশন স্কুলের ডিরেক্টর এ. পালানিস্বামী জানিয়েছেন, মুখ্য শিক্ষা আধিকারিক ঘটনার তদন্ত করছেন। রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা আধিকারিকও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার সৃষ্টি সিং বৃহস্পতিবার প্রাথমিক তদন্তের পর সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রীর মা ৬ই এপ্রিল সন্ধ্যায় ক্লাস টিচারকে ফোন করে বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছিলেন। টিচার নাকি Principal-এর সাথে কথা বলতে বলেন।

৭ই এপ্রিল, সোমবার মা মেয়েকে স্কুলে ছাড়তে গিয়ে Principal-এর সাথে দেখা করে সংক্রমণের আশঙ্কার কথা বলেন এবং আলাদা ব্যবস্থা চান। এরপর মা চলে গেলে, ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে বসানো হয়। সেদিন সন্ধ্যায় মেয়েটি বাড়ি ফিরে মেঝেতে বসে থাকার কারণে পায়ে ব্যথার অভিযোগ করে। পরের দিন রিভিশন ক্লাসে যায়নি সে। বুধবার আরেকটি পরীক্ষা দিতে গেলে এক আত্মীয় তাকে স্কুলের পাঁচিলের বাইরে বসে থাকতে দেখে অভিভাবকদের জানান। মা দ্রুত স্কুলে এসে ঘটনার ভিডিও করেন।

যদিও এখনও কোনো formal অভিযোগ দায়ের হয়নি, তবে অভিযোগ পেলে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইতিমধ্যে, স্কুল কর্তৃপক্ষ Right of Children to Free and Compulsory Education Act, 2009-এর ধারা ১৭ অনুযায়ী স্কুলের Principal-কে সাসপেন্ড করেছে। এই ধারায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক হয়রানি নিষিদ্ধ।

বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা নেগামাম থানায় Principal এম. আনন্দী, অফিসের সহকারী শান্তি এবং Correspondent থাঙ্গাভেলপান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে Scheduled Caste and Scheduled Tribes (Prevention of Atrocities) Act, 1989-এর একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ছাত্রীর মাকে জাতিগতভাবে অপমান করেছিলেন, যখন তিনি এই দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছিলেন।

এই ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের প্রতি অসংবেদনশীল আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে নেটদুনিয়া। দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে সর্বত্র।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন