সাহেব দাস,
আলিপুরদুয়ারে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান বদল ঘিরে বিতর্ক! রাজবংশী জনগোষ্ঠীর বলেই কি সই চিঠি? প্রশ্ন ওয়াকি মহলে ! প্রশ্নের মুখে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব্য ।
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (ডিপিএসসি) বর্তমান চেয়ারম্যান রাজবংশী জনগোষ্ঠীর পরিতোষ বর্মনকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব ঘিরে জোরদার বিতর্কে উত্তাল আলিপুরদুয়ার রাজনৈতিক মহল । ভাইরাল এক চিঠিকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে: “কে লিখল এই চিঠি? আর কেনই বা সরাতে চাওয়া হচ্ছে সফল ও সৎ প্রশাসককে?” যার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন দুর্নীতির বা অন্য কোনো অভিযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বামের পরামর্শে রাম; বিজেপির একাধিক গুরুদায়িত্বে প্রাক্তন বামনেতারা
ভাইরাল হওয়া চিঠিটিতে দাবি করা হয়েছে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে এক সুপারিশ পাঠিয়েছেন। তাতে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিতোষ বর্মনকে সরিয়ে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সংগঠনের জেলা সভাপতি ভাস্কর মজুমদারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে এই চিঠির সত্যতা নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। কারণ স্নিগ্ধা শৈব্য নিজে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর চুপ থাকা যেন আরও বাড়াচ্ছে ধোঁয়াশা। চিঠি সত্যি না নকল, সই আসল কি না —সব প্রশ্নেই নীরব সভাধিপতি।
প্রশ্ন উঠছে — পরিতোষবাবুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলে তাঁকে সরানোর প্রস্তাব কেন?রাজবংশী জনগোষ্ঠীর একজন গৌরবের নক্ষত্র পরিতোষ বর্মন কে সরানোর চেষ্টা কেনো করা হয়েছে? এ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ওয়াকি মহলে!
ভাস্কর মজুমদার বলেন, “২০১৪ সাল থেকেই আমার নাম উঠে আসছে এই পদে, তখন সাংসদ দসরথ তিরকি ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি পারিবারিক কারণে দায়িত্ব নিইনি। আজও কেউ আমার মতামত চায়নি।”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, “আমি এক জন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এটি প্রাথমিক স্তরের বিষয় — আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।”
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন কাকে বলে দেখে যান’! নিজের এলাকাতেই ক্ষোভের মুখে উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন
অন্যদিকে, বর্তমান ডিপিএসসি চেয়ারম্যান রাজবংশী জনগোষ্ঠীর গৌরব পরিতোষ বর্মন বলছেন, “২০২১ সালে সরকার আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ন্যায্য কাজ করেছি।” চিঠি প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।” তাহলে সত্যিই কি ডিপিএসসি চেয়ারম্যান বদলের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক চাপ? না কি রাজবংশী জনগোষ্ঠীর বলেই সরানোর চেষ্টা?
জেলা পরিষদের সভাধিপতি কি করে শিক্ষক দপ্তরে এই ধরনের চিঠি দিতে পারে এটি একটি বড়ো প্রশ্ন সাধারণ মানুষের ।