পিছনে রয়েছে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন লেখা ফ্লেক্স। পাশে রয়েছে শহিদ যুব নেতা মইদুল মিদ্যার কাট আউট। আর তার সামনে গানের তালে দুই যুব মহিলা কর্মীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচ করছেন বাঁকুড়া জেলার দুই যুব নেতা। সামাজিক মাধ্যমে এমন ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল জেলাজুড়ে। যদিও ওই দুই যুব নেতা ভিডিয়োটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃত করা ভিডিয়ো বলে দাবি করেছেন। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সিপিএমের ওই যুব সংগঠনকে তীব্র কটাক্ষ করেছে যুব তৃণমূল।
আরও পড়ুন: মদন মিত্র-সহ একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের
সম্প্রতি সুশান্ত ঘোষ থেকে শুরু করে বংশগোপাল চৌধুরী, একের পর এক সিপিএম নেতার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যার জেরে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে দলগতভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার বাঁকুড়ার দুই ডিওয়াইএফআই জেলা নেতার ভিডিয়ো ভাইরাল হল সামাজিক মাধ্যমে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দলীয় কার্যালয়ে চটুল গানের তালে কোমর দুলিয়ে দুই মহিলা যুব কর্মীর সঙ্গে নাচ করছেন ডিওয়াইএফআই এর বাঁকুড়া জেলা নেতা অভীক মিশ্র ও শুভেন্দু মণ্ডল। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল শুরু হয়।
দলীয় কার্যালয়ে ওই নাচ নিয়ে ডিওয়াইএফআই নেতা অভীক মিশ্রর সাফাই, তাঁদের সংগঠনে নাচ গান নিষিদ্ধ নয়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তা হয়েই থাকে। একইসঙ্গে চটুল গানের অভিযোগ খারিজ করে তাঁর বক্তব্য, “কবেকার ভিডিয়ো বুঝে উঠতে পারছি না। এটা সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। আমাদের কার্যালয়ে ওরকম চটুল গান চলে না। কারা যোগ করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হোক। বামপন্থীদের নানাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্থার চেষ্টা হচ্ছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই এইসব ভিডিয়োকে ভাইরাল করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইউনুস, জানালেন নাহিদ, ‘নাটক’ বলে সন্দেহ বিরোধীদের
সংগঠনের জেলা সম্পাদক অবশ্য বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। ডিওয়াইএফআইয়ের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক সঞ্জয় মান্ডি বলেন, “ওরা চুরি করেনি। খাটের তলায় টাকা লুকিয়ে রাখেনি। ওইদিন কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল। তারপর কর্মীরা একটু নেচেছেন। সারারাত ধরে নাচেননি। চটুল গানের বিষয়টি পুরো মিথ্যা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে।”
ভাইরাল এই ভিডিয়ো নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। যুব তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি রাজীব দে বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে যা দেখলাম, সিপিএমের পার্টি অফিসে উদ্দাম নৃত্য, এটা সিপিএমের সংস্কৃতি। ডিওয়াইএফআইয়ের কালচার। এরা বড় বড় কথা বলে। রাজ্যে নাকি নারীদের সুরক্ষা নেই, স্বাধীনতা নেই। একটা পার্টি অফিসে এই উদ্দাম নাচের ধিক্কার জানাই।”