বাড়িতে ডেকে যৌন নির্যাতন দুই পুরুষকে- কিশোর ও যুবক। জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। এমনকি যৌনাঙ্গ সহ সারা শরীরের ২৩টি স্থানে স্টেপলার দিয়ে স্টেপল পর্যন্ত করে দেওয়া হয়! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়। নির্যাতনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ, নির্যাতনের পর ওই ২ জনের কাছে থাকা সর্বস্ব লুঠ করে নেয় দম্পতি।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাডাঙা এলাকায় খাসির বদলে ছাগলের মাংস বিক্রি! ধরা পড়তেই চম্পট TMC নেতার
অভিযোগ, ওই দম্পতি ওই ২ পুরুষকে অকথ্য যৌন নির্যাতন করে। জোর করে যৌনকর্মে লিপ্ত করে। যৌনাঙ্গে গোলমরিচ ছিটিয়ে দেয়। নির্যাতনের একটি ভিডিয়োও করে। তারপর লুঠপাট করে। এমনকি ছুরি দিয়েও আঘাত করে ওই দুই জনকে। অভিযুক্ত দম্পতি জয়েশ ও রেশমি কোইপুরমের কাছে চরালকুন্নুর বাসিন্দা। তাঁরা ওনাম উৎসব উদযাপনের নামে নির্যাতিতদের বাড়িতে ডাকে বলে অভিযোগ।
প্রথমে নীলামপেরুরের ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরকে তারা বাড়িতে ডেকে রেশমির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে। স্বামী জয়েশ সঙ্গমের সেই দৃশ্য রেকর্ড করতে থাকে। অভিযোগ, ওই কিশোরকে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছিল। এমনকি সাইকেলের চেন দিয়েও মারা হয়। ছুরি দিয়ে ভয় দেখানো হয়। মরিচ ছিটিয়ে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গে। তারপর তার কাছ থেকে ১৯,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে ফেলে রেখে দিয়ে আসে তাকে।
আরও পড়ুনঃ পুজো সংখ্যায় জুড়ল নতুন গল্প! লাল পেড়ে শাড়ি
দ্বিতীয় জন জয়েশেরই প্রাক্তন সহকর্মী। তাঁকেও মারধর করা হয়। যৌনাঙ্গ সহ সারা শরীরের ২৩টি জায়গায় স্টেপল করে দেওয়া হয়। তারপর টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই নির্যাতনের ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এর পিছনে কালো জাদু, তন্ত্রমন্ত্রের সাধনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে জয়েশ ও রেশমিকে।