এই ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে? এবার মুখ খুললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। তিনি বলেন, “সাউথ কলকাতা ল’কলেজে একটি কেস হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে । কেস খুবই সেন্সিটিভ রয়েছে, তাই আমার খুব একটা ডিটেলস শেয়ার করতে পারছি না।”
আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জেরে নওদায় বোমাবাজিতে মৃত্যু, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
সিপি জানান, দ্রুত এফআইআর করা হয়েছিল। তিনজন এফআইআর অভিযুক্তকে দ্রুত ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর তথ্যের ভিত্তিতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অনেকে প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করেছি । সমস্ত কিছু আমরা বিশ্লেষণ করছি, বাকি যে তদন্তের প্রক্রিয়া রয়েছে, সেটা হচ্ছে। ভিক্টিমের পরিচয় সেন্সিটিভ। সুপ্রিম কোর্টের এবং হাই কোর্টের গাইডলাইন রয়েছে যাতে ভিক্টিমের আইডেন্টিটি কোনওভাবে প্রকাশ না করা হয়। আমাদের কাছে প্রচুর তথ্য এসেছে, যা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে । যা যা পদক্ষেপ করার দরকার সব করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সোমবারই সিপি-র সঙ্গে দেখা করেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এদিকে, কলেজের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগে রীতিমতো স্তম্ভিত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের গভর্নিং বডি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে কলেজ। সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মদন, শোকজের জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়ক
এদিকে, এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করা হয়েছে। আজ মূল অভিযুক্ত-সহ ধৃত ৪ জনকেই আদালতে পেশ করা হবে। মঙ্গলবার নির্যাতিতাকে নিয়ে প্লেস অফ অকারেন্সে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা বয়ানে যা যা বলেছেন, তার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ। ওই দিন কলেজে ১৭ জনের মতো ছিল। শেষে কলেজ থেকে বের হন চার জন। সেই চার জনকে কি কলেজ থেকেই কেউ বেরিয়ে যেতে বলেন, নাকি স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যান, নির্যাতিতা ঘটনার পর গভার্নিং বডিকে জানিয়েছিলেন কিনা, সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।