Wednesday, 18 June, 2025
18 June, 2025
HomeকলকাতাKolkata: সকাল থেকে খোলেনি দরজা, হাড়হিম ঘটনা কসবায়

Kolkata: সকাল থেকে খোলেনি দরজা, হাড়হিম ঘটনা কসবায়

সকাল থেকে খোলেনি দরজা, সন্ধে গড়াতেই একসঙ্গে উদ্ধার মা-বাবা-ছেলের দেহ, হাড়হিম ঘটনা কসবায়

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

ট্যাংরা-কাণ্ডের ছায়া! মঙ্গলবার কসবার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের তিন জনের দেহ। ৭০ বছরের বৃদ্ধের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর স্ত্রী গার্গী ভট্টাচার্য এবং পুত্র আয়ুষ্মান ভট্টাচার্যের দেহে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন।

আরও পড়ুন: “বিছানায় উঠুক ঝড়”; বর্ষার দিনে কাছাকাছি না এসে পারা যায়!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কসবা থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। তাঁরা জানান, ৫০ নম্বর রাজডাঙা গোল্ড পার্কের ওই ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলের বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকাল থেকে দরজা খোলেননি। খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তারা গিয়ে দেখে, ফ্ল্যাটের কোলাপসিপল গেট ভিতর থেকে তালা দেওয়া রয়েছে। গেটের পিছনে রয়েছে কাঠের দরজা। সেটিও বন্ধ। এর পর পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যাটের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে, হলে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সরজিতের দেহ। ভিতরের ঘরে তাঁর স্ত্রী গার্গী এবং পুত্র আয়ুষ্মানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গার্গীর বয়স ৬৮ বছর। আয়ুষ্মারে বয়স ৩৮ বছর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গার্গী এবং আয়ুষ্মানের শরীরে কাটা দাগ রয়েছে। চিকিৎসক এসে তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। সে কারণে পুলিশের একাংশ মনে করছেন, পরিবারের সদস্যেরা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে মা এবং পুত্রের শরীরে ক্ষতচিহ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তিন জনে একই সঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি দু’জনকে খুন করে কোনও এক জন আত্মঘাতী হয়েছেন, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: মদ ভেবে ডেটল! শোরগোল নদিয়ায়

এই ঘটনায় অনেকেই ট্যাংরা-কাণ্ডের ছায়া দেখছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ট্যাংরার অতল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দে পরিবারের দুই বধূ এবং এক কিশোরীর দেহ। অভিযোগ, তিন জনকে খুনের পর দেহগুলি বাড়িতে রেখে কিশোর প্রতীপ দে এবং তার বাবা প্রণয় দে-কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কাকা প্রসূন দে। উদ্দেশ্য ছিল আত্মহনন। ভোররাতে অভিষিক্তার কাছে তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তিন জনই গুরুতর জখম হন। দীর্ঘ দিন এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন প্রসূন, প্রণয়, প্রতীপ। সেরে ওঠার পর খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দুই ভাই প্রসূন এবং প্রণয়কে। প্রতীপ রয়েছে কলকাতার এক হোমে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন