বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি পেল বাংলা। দায়িত্ব পেলেন শমীক ভট্টাাচার্য। বৃহস্পতিবার তাঁকে স্বাগত জানাতে সায়েন্স সিটিতে আয়োজন করা হয়েছিল সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেখানে ডাক পেলেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও শমীক ভট্টাচার্য তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন বলেই জানিয়েছেন। তবে দলে যেভাবে তাঁকে বারবার ব্রাত্য করা হচ্ছে, তাতে কি আর বিজেপিতে থাকবেন দিলীপ ঘোষ? নাকি যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে?
আরও পড়ুন: জেপি নাড্ডার বদলে কে সভাপতি হবেন? নির্মলা সীতারামন!
এ দিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত পার্টি ঠিক করবে। ভগবানের খাতায় লেখা আছে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে, তাই আমি এসেছি। পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। পার্টি আমাকে গাড়ি দিয়েছে, সিকিউরিটি দিয়েছে। আমি নিজে এগুলোর কোনওটাই চাইনি। পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব। আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাইনা।”
দিলীপ ঘোষ বরাবরই পরিচিত স্পষ্টভাষী হিসাবে। তিনি আগেও একাধিক চমক দিয়েছেন। কখনও পৌঁছে গিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে, কখনও আবার ডুগডুগি হাতে বেরিয়ে পড়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোনও চমক দেবেন কি? এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কল্পনা করতে তো পয়সা লাগে না। অনেকেই করছে। ২১ তারিখ পর্যন্ত কল্পনার ডেট দেওয়া হয়েছে। তারিখ পে তারিখ। কিছু একটা মার্কেটে থাকে। দিলীপ ঘোষ মার্কেটে আছে।”
আরও পড়ুন: বঙ্গের ‘নিজস্ব হিন্দুত্ব’ আমদানি! নাকি নিশানা ‘কালীঘাটবাসিনী’কেই?
তাহলে কি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচে গিয়েছে দিলীপ ঘোষের? উত্তরে বিজেপি নেতা বলেন, “আমার সঙ্গে কুণাল, অরূপের অনেক আগে থেকে পরিচয়। এখনও আছে। আগামিদিনেও থাকবে। দিলীপ ঘোষ ওরকমভাবে ভাবে না। কাল শত্রু ছিল, আজ বন্ধু হল, আবার পরেরদিন শত্রু হল, দিলীপ ঘোষ ওইভাবে ভাবে না। যারা ওরকম করে, তাদের সমস্যা আছে। দিলীপ ঘোষের এরকম কোনও সমস্যা নেই।”
তাহলে জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন কেন? দিলীপ ঘোষের সাফ উত্তর, “আমি জগন্নাথ মন্দির গিয়ে কারুর প্রতিনিধিত্ব করিনি”। তিনি বলেন, “আমাকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন। আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক। সেই হিসেবে গিয়েছি। সরকারি প্রকল্প, কিন্তু আমি মনে করি ওই মন্দির তৈরিতে আমার ট্যাক্সের টাকা আছে। এটা কারোর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বহু লোক আমাকে ডাকে।”