Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeরাজ্যDilip Ghosh: দিলীপের মুখে মমতার প্রশংসা, অভিমানের সুর গলায়

Dilip Ghosh: দিলীপের মুখে মমতার প্রশংসা, অভিমানের সুর গলায়

দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়েই দিদির খানিকটা পাশে ঘেঁষে দাঁড়ালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দলবদল করছেন না। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে যাবতীয় জল্পনায় ইতি টানলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার শিবপ্রকাশের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিলীপ বলে দিলেন, “যে পার্টি দাঁড় করিয়েছে, সে কেন দল ছাড়বে?” তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গেল দিলীপের মুখে। বলে গেলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্তত দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই।

আরও পড়ুন: কর্মীদের কাছে ‘ইনস্ট্রাকশন’! জানেন না মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিব

দিলীপ ঘোষ যে অভিমানী সেটা বোধ হয় আর আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। বেশ কিছুদিন দলের কর্মসূচিতে দেখা যায় না। দলের কোনও বড় নেতা এলে ডাক পেতেন না। সাংগঠনিক বৈঠকে ডাকা হত না। এমনকী কোথাও গেলে স্থানীয় কর্মীদের সহযোগিতা পেতেন না। এর মধ্যে তাঁর দলবদলের জল্পনাও শোনা গিয়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। একুশের মঞ্চে থাকবেন না, জোর গলায় বলেননি। সেই দিলীপ ঘোষ যেন আচমকায় বদলে গেলেন। দিল্লিতে তলব পেয়ে হাবেভাবে আমূল বদল। বুঝিয়ে দিলেন, দলবদলের প্রশ্ন আর নেই। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চাইছেন। অভিমান এখনও আছে, তবে তিনি বিজেপির ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ সৈনিক। অন্তত দিল্লিতে শিবপ্রকাশের সঙ্গে দেখা করার পর তেমনটাই জানালেন দিলীপ। বোঝা গেল, অভিমানী দিলীপ দিল্লির পেপটকে খানিকটা চাঙ্গা হয়েছেন।

তিনি বলছেন, “আগে থেকেই অনেক কিছু ঘটছে। পার্টির মিটিংয়ে আমায় চেয়ার দেওয়া হত না। আমি তো কাজ করেছি। দল ছেড়ে তো চলে যাইনি। একজন-দু’জন আমায় দলছাড়া করতে চেয়েছিল। তারা চেষ্টা করেছিল। যে পার্টি দাঁড় করিয়েছে, সে কেন দল ছাড়বে?” কারা দল থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিল? সে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তবে ঘুরিয়ে শুভেন্দু-সুকান্ত জুটিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ। লোকসভায় তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দুর্গাপুরে পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটা যে ঠিক নয়, তাও এদিন মনে করিয়ে দেন দিলীপ।

আরও পড়ুন: আজ গুরুপূর্ণিমা, জীবনের প্রথম গুরু মা-বাবা

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তাতে তৃণমূল যোগের জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “সবার প্রশংসা করি। কারও বিরুদ্ধে বিনা কারণে কিছু বলতে দেখেছেন কিছু? প্রশংসা করব না কেন? প্রশংসা এই কারণে করেছি যে যাঁরা তাকে নিয়ে এত বড়বড় কথা বলছে, তাঁদের নামে কেস আছে। যাঁকে নিয়ে এত চর্চা, তার নামে কেস নেই কেন? আর যার নামে কেস নেই, চোর ডাকাত বলে কেউ প্রমাণ করেনি তার সঙ্গে যদি বসি, আমি খারাপ হয়ে গেলাম?” মমতার প্রশংসা করায় দলীয় কর্মীরা কি অস্বস্তিতে পড়েছিল? দিলীপের জবাব, “কর্মীরা নয়, কিছু লোক অস্বস্তিতে পড়েছিল। সমস্যা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় এত গুরুত্ব দিয়েছে কেন? এই জন্যই দলের অনেকে অস্বস্তিতে পড়েছিল।” তাঁর নিশানা যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে, সেটা বলতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন