মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের পাশে রয়েছে শিল্পপতি তকমা। দেশ চালানোর পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। সেই পথে হেঁটে এবার স্মার্টফোনের দুনিয়ায় পা রাখল ট্রাম্পের সংস্থা। সরাসরি অ্যাপেলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বাজারে আনা হচ্ছে ট্রাম্প মোবাইল। মোবাইল ফোন বিক্রির পাশাপাশি টেলিকম সেক্টরেও পা রাখতে চলেছে ট্রাম্পের পরিবার।
আরও পড়ুন: ব্যাকফুটে তেহরান; খতম ইরানের সেনা সর্বাধিনায়ক
গত সোমবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্র এরিক ট্রাম্প। তিনি জানান, আমাদের এই নতুন ব্যবসার ভিত্তি হবে জাতীয়তাবাদ। ‘মেক আমেরিকা ফার্স্ট এগেন’, এই নীতিকে মাথায় রেখে প্রতিটি ট্রাম্প মোবাইল ম্যানুফেকচার করা হবে আমেরিকাতে। দেশের মাটিতেই তৈরি করা হবে কল সেন্টার। আমেরিকাবাসীর কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে এই অত্যাধুনিক ফোন। যার দামও হবে অত্যন্ত সস্তা। উন্নতমানের মোবাইল পরিষেবা-সহ এই ফোনের দাম পড়বে মাত্র ৪৯৯ ডলার।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন টেক সংস্থা অ্যাপেলের সঙ্গে রীতিমতো সংঘাত শুরু হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অ্যাপেলকে ভারতে বাণিজ্য না করার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই হুঁশিয়ারির পর এবার অ্যাপেলকে টক্কর দিতে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় ট্রাম্পের সংস্থার পা রাখা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ছটি জায়গায় ই ডি! লেকটাউনে আইনজীবির বাড়িতে ইডির হানা
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে বসার পর তাঁর ব্যবসা বাণিজ্য যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমতো সন্ধিহান বিরোধী শিবির। ২০২৪ অর্থবর্ষে নিজের আয়ের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে দেখা যাচ্ছে গত অর্থবর্ষে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন তিনি। এই আয়ের বেশিরভাগটাই এসেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে। এছাড়াও গলফ ক্লাব, রিসর্টের ব্যবসায় রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব ট্রাম্প নিজের সন্তানদের হাতে দিলেও আয়ের সুবিধাভোগী এখনো ট্রাম্প নিজেই। যার জেরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য না করা হলেও। আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন বিরোধীরা।