অরাজকতার সব সীমা পার করল ইউনূসের বাংলাদেশ। হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার তো চলছিলই, এবার বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল দুর্গামন্দির। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকেই এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। ভারত সরকারের নজর এড়ায়নি এই কাণ্ড। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
ঢাকার খিলক্ষেত দুর্গামন্দির ভেঙে দিল বাংলাদেশ প্রশাসন। বুলডোজার দিয়ে মন্দিরটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় হিন্দু সমাজের মানুষ মন্দির ভাঙা আটকাতে বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েকশো মানুষ। পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের সরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রথযাত্রায় হর্ষণা যোগ-পুষ্য নক্ষত্র, পূণ্য দিনে ভাগ্য প্রসন্ন হবে এই চার রাশির
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খিলখেত এলাকা কমিটির লোকজন মন্দিরে হামলা চালায় একদল লোক। সেদিন বাধা পেয়ে তারা সরে গেলেও হুমকি দিয়ে যায় পরদিন বেলা বারোটার মধ্যে মন্দির সরিয়ে নিতে হবে। তৌহিদি।জনতা নামে একটি মৌলবাদী সংগঠনও তাতে গলা মেলায়।
এরপরই তৎপর হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা বলে ওই মন্দির রেলের জমিতে অবস্থিত। সরিয়ে না নিলে ভেঙে ফেলা হবে।
মন্দির কমিটি এবং স্থানীয় হিন্দু সমাজের মানুষ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে পথে নামে। প্রতিবাদ উপেক্ষা করে মন্দির ভাঙার অভিযান শুরু করে রেল। বুলডোজার দিয়ে মন্দির ভাঙা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে শোরগোল! বেডরুম থেকে উদ্ধার মহিলার কঙ্কাল!
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি যুক্ত বিবৃতিতে খিলক্ষেত দুর্গা মন্দির উচ্ছেদের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রেলের দাবি কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে। যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের বক্তব্য, ওই এলাকায় অনেক নির্মাণ অক্ষত আছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়েই মন্দিরটি ভাঙা হয়েছে।