কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
মার্চ এপ্রিল মাসে শিলিগুড়িতে পর্যটনের এক ধাপ। তাই এই সময় সিকিম, দার্জিলিং এবং মিরিক সব জায়গায় পর্যটনের জোয়ার আসে। প্রতিবছর এই সময় সিকিমকে হারিয়ে দেয় দার্জিলিং। কারণটা অতি সহজ, বছরের ৩ থেকে ৫ বার সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ থাকে রাস্তা। আটকে থাকেন পর্যটক।
বহু কষ্ট করে সমতলে আসতে হয় তাদের। এবার কিন্তু অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে, ধস বা অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সিকিমে যদি যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয়, সেটা সমাধান 24 ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলছে সিকিম প্রশাসন এবং পর্যটন দপ্তর। উত্তর সিকিমে ঘুরতে ভালোবাসেন মানুষ , পছন্দ করেন তারা তাই পর্যটনের দরজা খুলে যেতে উত্তর সিকিম খুলে গেছে মানুষের জন্য। লাচুং এর হোটেলে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, পেলিং এরও একই অবস্থা। অন্যদিকে দার্জিলিঙে সেভাবে কিন্তু এখনো পর্যটকরা আসেননি। হয়তো আসবেন ঠিকই, যদি আজকের দিন ধরা যায় অবাক করার মত ঘটনা সিকিমের চাইতে দার্জিলিঙে পর্যটনের ভিড় অনেকটাই কম। যেটা হচ্ছে সেটা অনেকেই সিকিম যেতে পছন্দ করেন না বলে, সিকিমে এই সময় যেভাবে পর্যটন এসছে সত্যি ভাবা যায় না। কারণ, গত দুই থেকে তিন বছরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গেছে সিকিমে ভীষণভাবে।
আরও পড়ুন: তারকেশ্বর-মগরা লাইন পুনরায় চালু হওয়ার অপেক্ষায় এলাকাবাসী
মানুষ সিকিম থেকে শিলিগুড়ি আসতে পায়ের ঘাম মাথায় তুলছেন, এবং রাস্তায় শুধুমাত্র চা বিস্কুট এবং নুডুলস খেয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। তবে এটা তো সাময়িক ব্যাপার বলে মনে করছেন সিকিমের মানুষ। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি বাংলা বছরের শুরুতে দার্জিলিঙে ভিড় থৈ থৈ করে। এবার কিন্তু অনেকটাই সাদামাটা তুলনামূলকভাবে। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি ঘটনা। সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে যেহেতু পর্যটন তাদের জীবন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে, সেই কারণে ধসের কারণে পর্যটক কমে যাওয়ার পরে একেবারে আর্থিক পরিস্থিতি নেমে যায়। সেটা যাতে না হয় ধ্বসের পরে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেরামতি করে মাত করে দিয়েছে সিকিম। তবে দার্জিলিং পিছনে যাবে না, ভরা পর্যটনের এই মরশুমে নিঃসন্দেহে দার্জিলিং পিছিয়ে থাকবে না। শুধুমাত্র সময় বলবে ঠিক কি হবে।