Saturday, 5 July, 2025
5 July, 2025
HomeদেশElection Commission: মমতার দাবিই কি মেনে নিল নির্বাচন কমিশন! ১৯৮৭ সালের ১...

Election Commission: মমতার দাবিই কি মেনে নিল নির্বাচন কমিশন! ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে জন্মানো কাউকে বাড়তি নথি দিতে হবে না

বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দিনকয়েক আগেই বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষার (স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন) প্রসঙ্গ টেনে সুর চড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রক্রিয়ার নানা নিমকানুন নিয়েও। তার কয়েক দিনের মধ্যেই বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: ঠিক-ভুল নিয়ে চর্চা প্রশ্ন দলেই! আড়াআড়ি বিভক্ত সিপিএম

বিহারে আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করা হয়। সোমবার ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই নিয়মবিধিতে বিস্তর বদল এনেছে কমিশন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,

১) বিহারের ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে নথিভুক্ত ৪.৯৬ কোটি ভোটারের জন্য নতুন করে আর কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

২) এই ৪.৯৬ কোটি ভোটারের স্বীকৃতির জন্য বাবা কিংবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নথিও জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৩) কোনও ভোটারের নাম যদি ২০০৩ সালের বিহারের ভোটার তালিকায় না-ও থাকে, সে ক্ষেত্রে তিনি নিজের বাবা কিংবা মায়ের অন্য কোনও নথির পরিবর্তে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকাটি ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, মা কিংবা বাবার জন্য আলাদা করে কোনও নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই।

৪) অর্থাৎ, এখন মোট ভোটারদের প্রায় ৬০ শতাংশকে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। শুধু ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা থেকে বিবরণ যাচাই করে আবেদন বা গণনা ফর্ম জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জাল ভোটার রুখতে সম্প্রতি ভোটার তালিকায় পরিমার্জনের কাজে হাত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানায়, ওই রাজ্যে ২০০৩ সালে ভোটার তালিকার যে বিশেষ সংশোধন হয়েছিল, সেই সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৪.৯৬ কোটি। আর বিহারে এই মুহূর্তে ৭,৮৯,৬৯,৮৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এঁদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি এনুমারেশন ফর্ম (ইএফ) দেওয়া হচ্ছে। কমিশন জানায়, যাঁদের নাম পুরনো তালিকায় রয়েছে তাঁদের শুধু ইএফ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিলেই হবে। আলাদা করে অতিরিক্ত নথি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু যাঁরা নতুন, তাঁদের ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়ল ছয় মাস; মুখ্যসচিবের পদে বহাল মনোজ পন্থ

কমিশনের তরফে জানানো হয়, যে সব ভোটার ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের সপক্ষে তালিকায় উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ একটি নথি এবং তাঁদের বাবা কিংবা মায়ের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ রয়েছে এমন একটি নথি জমা দিতে হবে। যে সব ভোটার ২ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজের জন্মতারিখ ও জন্মস্থানের প্রমাণ হিসাবে যে কোনও একটি নথি এবং বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যদি কারও বাবা কিংবা মা ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পাসপোর্ট ও সন্তান জন্মের সময়কার ভিসার কপি জমা দিতে হবে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন