কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
তিনি অন্যান্য দের থেকে একেবারেই আলাদা। সবাই তাই বলেন সত্যিই তিনি আলাদা । আজ তিনি তা প্রমাণ করে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের দায়িত্ব তার কাঁধে। যেদিন থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন চেষ্টা করেছেন একটু অন্যভাবে কাজ করার। যাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে এসে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে পরম প্রাপ্তি পায়। শিলিগুড়িতে শ্রাবণী দত্তকে সবাই একটু অন্যভাবেই চেনেন। সবার সাথে মিশে যান, সবার সাথে কথা বলেন। সম্মান দিয়ে চলবার তার মধ্যে একটা আলাদা ইচ্ছে আছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বেহাল দার্জিলিং ও কালিম্পং, ভোগান্তি শিলিগুড়ির
তিনি জানালেন শিলিগুড়ি পুরসভাতে যতগুলো দায়িত্ব আছে, এই মিড ডে মিলের দায়িত্ব আমার কাছে একটা আলাদা প্রাপ্তি। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা আমার সন্তানের মত। ওরা যদি পেট ভরে খেতে পারে তবে আমার থেকে আনন্দিত আর কেউ হবেনা। যেদিন থেকে দায়িত্ব পেয়েছি চেষ্টা করে চলেছি যাতে খাওয়ার সময় ওদের মুখে হাসি থাকে। আজকে শিলিগুড়ির সূর্য নগর মাস্টার প্রীতনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ তিনি এসেছিলেন মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। গোটা ব্যাপারটি তিনি আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করেন। এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। তিনি জানান ওরা যাতে ঠিকমতো খায় এটা দেখতে এসেছিলাম, ভালো লাগছে ওদের সাথে খেতে পেরে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ১০, রুদ্র রূপ প্রকৃতির; অলকানন্দায় পড়ে গেল বাস
আমি তো ওদের থেকে আলাদা কিছু না। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফ থেকে দায়িত্বই আমি পালন করছি মাত্র। শুধু এই স্কুল কেন আমি চাইবো গোটা শহর শিলিগুড়ির ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে স্কুলে এসে মিড ডে মিলের খাবার সঠিকভাবে পায়। তবে আমি বুঝবো আমার কাজ সার্থক হয়েছে। শ্রাবণী দত্ত আরো জানান দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমি চেষ্টা করে চলেছি ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে খাবার নিয়ে কোন অসুবিধা না হয়। ওরা যাতে সুষম খাবার পায়। এটা করতে পারলেই যথেষ্ট। আজকে নিজে বসে একই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে তিনি প্রমাণ করলেন তার চিন্তা ভাবনা অন্যান্য দের চেয়ে আলাদা। তিনি জানালেন যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে আমি জানি না আমি কতখানি পালন করছি , তবে আমি চেষ্টা করব যাতে কোন ছাত্র-ছাত্রী বঞ্চিত না হয়। তবে আমি মনে করব আমি আমার লক্ষ্যে সফল।
