মধুসূদন ভট্টাচাৰ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে অবস্থিত কুঠিবাজার, এটি একটি প্রাচীন বাজার, ব্রিটিশ আমল থেকেই কুঠিবাজার এলাকাটি রামুজি নরেঙ্গি সুরেখা ট্রাস্ট ইস্টেট দ্বারা পরিচালিত। বর্তমানে কুঠিবাজারের এক ব্যবসায়ী সমীর ঘোষ নিজেকে ওই ট্রাস্টের ম্যানেজার বলে দাবি করেন আর তিনিই কুঠি বাজারের বৃহৎ একটা অংশ নিয়ে ব্যাবসয়ীদের সহযোগিতায় একটি নির্মাণ শুরু করেছে বলে জানা যায়। জানাযায় এই নির্মাণ কে ঘিরে দেখা দিয়েছে জট। ব্যবসায়ীদের দাবি, পৌরসভা প্রথমে অনুমতি দিলেও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের আপত্তিতে থমকে গিয়েছে তাদের কাজ। কুঠিবাজারে প্রায় ৪০০ এর উপরে ব্যবসায়ী রয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসার সাথে তারা যুক্ত, বর্তমানে যেই জায়গাটিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে সেই জায়গাতেই প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। আর এই নির্মাণটি বেআইনি বলেই পৌরসভা থেকে জানানো হয়, নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন্য।
আরও পড়ুন: Pratul Mukhopadhyay demise: ‘আমি বাংলায় গান গাই’ থামল, অচেনা সাগরে ডিঙ্গা ভাসালেন প্রতুল
আক্রান্ত ঘাটাল পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস ঘোষের অভিযোগ তিনি ওই জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে কিনা দেখতে গিয়ে সমীর ঘোষ এর অনুগামীদের কাছে আক্রান্ত হয় বিভাস ও আরেক কাউন্সিলর। এমনকি প্রাণ সংশয় রয়েছেন বলে দাবি বিভাষের। সমস্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে ঘাটাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভাষ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় থমকে গিয়েছে নির্মাণের কাজ।
ইতিমধ্যে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে, ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা কে কটাক্ষ করে পোস্টারিং করা হয়। বর্তমানে ব্যবসা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের সাথেও দেখা করেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
আর এই ঘটনার পরেই কাউন্সিলরকে মারধোরের করার নাম জড়ানো সমীর ঘোষের কোন যোগাযোগ পাওয়া যায়নি,ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: Acharya Satyendra Das: সরযূতে ‘জলসমাধি’! অভিনব শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্ক
ঘটনায় ঘাটাল পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা, এই নির্মাণ নিয়ে দিয়েছেন নানান অজুহাত, আর এই মারধরের ঘটনা নিয়েও কিছুটা হলেও ভিন্ন সুর তার গলায়।
তবে যাই হোক এই নির্মাণ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নির্মীয়মান জায়গায় ব্যবসা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তারা চায় সমস্ত জট কাটিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।
