কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
পুজোর মধ্যমণি ইয়া বড় লাড্ডু! পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েই গিয়েছে। প্রস্তুতি শুরু তাই এখন থেকেই। সামনে গণেশ চতুর্থী। সেই উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে বিশালাকার লাড্ডু। জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার যুবশক্তি ক্লাবের গণেশ পুজো এ বছর চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করবে। আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিশাল ১০৩ কেজির লাড্ডু। কারিগরদের তিনদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি এই মিষ্টি ইতিমধ্যেই শহরে কৌতূহল জাগিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মিশন ‘পুরোনো দাদাভাই হোটেল’কে শীর্ষে পৌঁছানো, পুজোর আগে জোরদার প্রস্তুতি সুমন্ত কুন্ডুর
গণেশ পূজো মানেই লাড্ডু। দেবতার অন্যতম প্রিয় ভোগ। এই সুবিশাল লাড্ডুটি তাই শুধু আকারেই নয়, ভক্তির প্রতীকও বটে। মণ্ডপে গণেশ মূর্তির সামনে সাজানো লাড্ডুটি যেন পূজোর মাহাত্ম্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি খরচ হয়েছে এই ১০৩ কেজি ওজনের লাড্ডু বানাতে। বিশাল মাপের উপকরণ, নিখুঁত কৌশল আর ধৈর্যের ছাপ ফুটে উঠেছে প্রতিটি অংশে। আয়োজকেরা বলছেন, ভক্তদের মুখে হাসি ফুটলেই তাদের খরচ সার্থক হবে।
আরও পড়ুনঃ ৯ হাজারি শাড়ি, বেশ কিছু গয়না কিনলেন মুখ্যমন্ত্রী, আপ্লুত বর্ধমানের শিল্পীরা
পুজো শেষে ভক্তদের মধ্যে এই লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হবে। এমন একটি বিশাল মিষ্টির অংশ পেয়ে খুশি হবেন সকলে, ছোট থেকে বড়। মিষ্টির স্বাদ যেমন মিশে যাবে জিভে, তেমনি ভক্তির আবেগও ছড়িয়ে পড়বে মানুষের মনে।
লাড্ডুটি শুধু খাবার নয়, ভক্তি, ঐক্য আর আনন্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এমন চমক শহরবাসীর নজর কাড়বে বলেই আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা।