ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন দু’ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বাধ্য হয়ে একটু আগে ঢাকার ওই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শনিবার ঢাকাগামী বেশ কিছু বিমান কলকাতায় অবতরণ করতে পারে বলে বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ দ্যা বার্ণিং ট্রেন! ধনতেরাসের সকালেই গরিব রথ ট্রেনে মারাত্মক কাণ্ড
শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনাটি কার্গো স্টাফদের নজরে আসে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির আমদানি করা পণ্য ওই কার্গো ভিলেজ রাখা ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় কোটি কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। বিমানবন্দরে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং দমকল বাহিনী ছাড়াও ঢাকা মহানগর দমকলের একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন নেভাতে নেমেছে সেনা ও নৌ সেনার দমকল বাহিনীও। প্রায় ২৪ টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। স্মরণকালের মধ্যে ঢাকা বিমানবন্দরে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের নজির নেই। এখনো পর্যন্ত আগুনে হতাহতের খবর নেই। তবে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। মোট কত টাকার পণ্য সেখানে রাখা ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। জানা যায়নি আগুন লাগার কারণও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অতি দাহ্য পদার্থ সেখানে রাখা ছিল। সেই কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
ঢাকায় দমকল বাহিনীর ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানিয়েছেন খবর পাওয়া মাত্র তাদের ১৪টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ফের অগ্নিগর্ভ ঢাকা! ক্ষোভের মুখে ইউনূস
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর জানিয়েছে সেনা এবং নৌসেনার দমকল বাহিনীও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে ঝাঁপিয়েছে। সব পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছিল বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখার। ঢাকার ওই বিমানবন্দর থেকে দৈনিক শতাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা করে। এছাড়া উঠানামা করে কয়েকশো অভ্যন্তরীণ বিমান। ইতিমধ্যেই বহু বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল যশোর খুলনা, রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মহম্মদ মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তা ছড়িয়ে না পড়ে। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।





