সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সল্টলেকের অফিস পেরিয়ে এবার ইডির নজর মন্ত্রীর রেস্তরাঁতে। চাপের মুখে দমকলমন্ত্রী এবং বিধায়ক সুজিত বসু।
আরও পড়ুনঃ হায় রে, ঘাশফুলের আমলে এসব কি হচ্ছে! সুজিত বসুর অফিসে হাজির ED; ১০ জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি
আগে মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি হলেও সল্টলেকের বি সি ব্লকের অফিসের কথা কথা জানত না ইডি। তাই আজ সেখান থেকে তল্লাশি শুরু হয়।
বিধানসভা নির্বাচন সামনে, তার মধ্যেই সাত সকালে কলকাতার নানা জায়গায় ইডির তল্লাশি। তা ছাড়াও নাগেরবাজার, কাঁকুড়গাছি মিলিয়ে ৬ জায়গায় সকাল থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তথ্যপ্রমাণ আগেই হাতে এসেছিল, সেই নিয়ে জোরকদমে চলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালেই অ্যাকশন মোডে ইডি! নাগেরবাজারে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ স্কুল মালিকের বাড়িতে হাজির ইডি
সকাল ৬টা নাগাদ নানা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
চলছে লেকটাউনে নিতাই দত্তর বাড়িতেও গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই নিতাই দত্ত তাঁর আপ্ত সহায়ক ছিলেন।
নাগেরবাজারে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দীপক দে এবং কাঁকুড়গাছিতে এক অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের বাড়িতেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সব কোম্পানির নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই সব ব্যক্তির নামও। সেই সূত্রেই তাঁরাও এখন ইডির আতশ কাচের তলায়।
কিন্তু পুজোর পর পরই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল কেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইডির জবাব, এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নানা ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। ফলে, সেই সংক্রান্ত কিছু ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন, তাই এই তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি, মন্ত্রী সুজিত বসুর একাধিক বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। অফিসের পর এবার রেস্তরাঁ অভিযান।