বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে পহেলগাঁওতে। জম্মু-কাশ্মীরের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বৈসরণ। মিনি সুইৎজারল্য়ান্ড বলা হয় একে। মঙ্গলবার শতাধিক পর্যটকে গমগম করছিল উপত্যকা। আচমকাই জঙ্গিরা হামলা করে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তারা বেছে বেছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে হামলা চালায়। গুলি চালানোর আগে জানতে চায় তাদের ধর্মীয় পরিচয়। এখনও পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও। সমস্ত পর্যটকদের সমতলে ফিরে আসতে বলা হচ্ছে। কিন্তু বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? বিমানের টিকিট কাটতে গিয়ে আঁতকে উঠছেন সকলে। ৩০-৪০ হাজার টাকা বিমানের ভাড়া দেখাচ্ছে। তাও আবার এক-একজনের। জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে পর্যটকরা পরিবার নিয়ে ফিরবেন?
আরও পড়ুন: পহেলগামের পরে কাশ্মীর ছেড়ে পালানোর হিড়িক, বিমান বাড়াতে বলল ডিজিসিএ
পহেলগাঁওতে নৃশংস হত্যালীলার পর হাজার হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন। বাঙালি পর্যটকের সংখ্যাই প্রায় ৪৫০। বহু পর্যটকই তড়িঘড়ি কাশ্মীর থেকে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু একাধিক বেসরকারি বিমান সংস্থা এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতে প্রায় তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পহেলগাম জঙ্গি হামলা, অবশেষে ৩ হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ্যে
এই অবস্থায় বিমানের ভাড়া, বাতিল চার্জ এবং আনুষঙ্গিক খরচ কমানোর জন্য সবকটি বেসরকারি বিমান সংস্থাকে চিঠি দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল। চিঠিতে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলি যেন অতিরিক্ত বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করে। শ্রীনগর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিমানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, যাতে পর্যটকদের আটকে পড়তে বা অন্য কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়। পাশাপাশি চিঠিতে আনুষঙ্গিক খরচ কমানোর জন্যও বলা হয়েছে।