বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব যাই হোক না কেন, যানজটের সময়টা হিসেব করেই বাড়ি থেকে বেরতে হয় নিত্যযাত্রীদের। পাবলিক বাস হোক বা ভাড়া করা ক্যাব- যাতেই চাপুন না কেন, ওই যানজট আপনি এড়াতে পারবেন না। তবে এবার অফিস যান একেবারে ‘উড়ে’। ভাবুন তো রাস্তায় যানজটের চিত্রটা আকাশপথে দেখতে দেখতে অফিস পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। না, কোনও টেসলার মতো সংস্থা নয়, ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেই উড়ন্ত ট্যাক্সি।
বেঙ্গালুরুর সংস্থা সরলা অ্যাভিয়েশন ওই ফ্লাইং ট্যাক্সি তৈরি করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সেটির চেহারা। ঝাঁ চকচকে ফ্লাইং ট্যাক্সির ভিতর হালকা নীলচে আলো দেখলে লোভ সামলানো দায় হবে। এই এয়ার ট্যাক্সি চলবে ব্যাটারিতে, ফলে জ্বালানির খরচ বাঁচবে, পরিবেশও রক্ষা হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-স্বর্গ নিয়ে আতঙ্ক! পর্যটকরা বেশি করে ঝুঁকছেন দার্জিলিং, সিকিমের দিকে
‘সরলা অ্যাভিয়েশন’ সংস্থাটির নামকরণ হয়েছে সরলা থুকরালের নামে। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে বিমান উড়িয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রথমে প্রিমিয়াম ক্যাবের ভাড়ায় এই ট্যাক্সিতে চড়া যাবে। পরে আরও কমবে ভাড়া। বছর কয়েকের মধ্য়েই বিলাসবহুল ওই ট্যাক্সির ভাড়া অটোরিক্সার সমান হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কী কী থাকবে এই ফ্লাইং ট্যাক্সিতে
১. এই ট্যাক্সিতে ৬ জনের বসার জায়গা থাকবে।
২. একজন হেলিকপ্টার পাইলট এই এয়ার ট্যাক্সি চালাতে পারবেন, তবে ওড়ানোর জন্য নিতে হবে বিশেষ লাইসেন্স।
৩. ৭টি প্রপেলার ও ৭টি মোটর থাকবে এতে। এর সঙ্গে থাকবে একটি ব্যাক আপ মোটর। একটি মোটর কাজ করা বন্ধ করে দিলে, অপর মোটরটি চলতে শুরু করে দেবে।
৪. এটি ব্যাটারির সাহায্যে চলবে। একদিকে দুটি ও অপরদিকে দুটি অর্থাৎ মোট ৪টি ব্যাটারি থাকবে এতে। একদিকের ব্যাটারির সমস্যা হলে, অপরদিকেরটি কাজ করা শুরু করবে।
৫. এই ফ্লাইং ট্যাক্সির রেঞ্জ ১৬০ কিলোমিটার। এর গতি হবে ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
৬. ৪০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারবে এই ট্যাক্সি, যা বিমান বা হেলিকপ্টারের থেকে কম।
৭. সুরক্ষার জন্য থাকবে সিট বেল্ট। বসার জায়গাও যথেষ্ট আরামদায়ক।
‘সরল অ্যাভিয়েশনের’ এক কর্ণধার তথা ফ্লাই ট্য়াক্সির অন্যতম এক রূপকার জানান, আপাতত বেঙ্গালুরুতে চালানো হবে এই ফ্লাইং ট্যাক্সি। পরবর্তীতে পুনে, মুম্বই, কলকাতা সহ একাধিক ব্যস্ত শহরে চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অপকর্মের ফল! পহেলগাঁও যন্ত্রণার মাঝেই পাক সেনার বিমানে আগুন, বাতিল সমস্ত পরিষেবা
আর ওই শহরগুলিতে ২০৩০-এর মধ্যেই এই ফ্লাইং ট্যাক্সি ওড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। তাই আকাশে উড়ে অফিস যাওয়ার স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়।
