কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
শিলিগুড়ির দ্বিতীয় জলপ্রকল্পে বন দপ্তরের ছাড়পত্র মিলতেই এলাকা পরিদর্শন করলেন বনাধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা। এলাকা পরিদর্শনের পর যে জায়গায় পাইপলাইন বসানোর কাজ বাকি ছিল সেই এলাকায় গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে বন দপ্তর। প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছ তুলে পাইপলাইন পাততে হবে। ওই এলাকার পাশাপাশি বন্যপ্রাণ এলাকা, যেখানে জলাধার তৈরি হবে, সেই এলাকাও পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ ছুটবে না ‘উড়বে’! কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এক ঘণ্টায়; টিকিটটা আজ কেটে ফেলুন
এ নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বক্তব্য, ‘যে এলাকায় পাইপলাইন পাতার জন্যে বন দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন ছিল, সেই এলাকায় কাজ শুরু হচ্ছে। বন দপ্তরের অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। আর একটি ফাইল রাজ্য ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডের কাছে রয়েছে। সেটি কেন্দ্রীয় ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুনঃ এবার নজর সিরিয়া; হামলা চালাল ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী
শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জলপ্রকল্পের কাজ করছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। গজলডোবায় তিস্তা নদী থেকে জল পাইপলাইনের মাধ্যমে এনে ফুলবাড়িতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পরিশোধন করা হবে। সেখান থেকে জল আবার পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে। এই পর্যায়ে আরও ১০ হাজার বাড়ির সংযোগের জন্যে পাইপলাইন পাতা হচ্ছে। পাশাপাশি তিস্তা থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত জল আনার জন্যেও পাইপলাইন পাতা হচ্ছে। কিন্তু ওই পাইপলাইন পাতার সময় মাঝপথে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল পড়ছে। ওই জঙ্গলে পাইপ পাততে হলে বন দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমতির জন্যেই এতদিন পাইপ পাতার কাজ আটকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে এসে আধিকারিকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। এরপরেই তড়িঘড়ি বন দপ্তরের প্রধান সচিব পদক্ষেপ করে শিলিগুড়ি পুরনিগমকে অনুমতি দিয়ে মেয়রকে চিঠির প্রতিলিপি হোয়াটসঅ্যাপ করেন। সেই অনুমতি পাওয়ার পর কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার ওই কাজ দেখতে গিয়েছিলেন বন দপ্তর এবং পুরনিগমের কর্তারা। কত গাছ সরাতে হবে, কোন গাছ কোথায় যাচ্ছে সেগুলি দেখা হয়। ১০ দিন লাগবে গাছ সরাতে। এরপর, শুরু হবে পাইপ পাতার কাজ।