জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। নারকীয় এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ থেকে বিশ্ব। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া, ইজরায়েল, ইটালি সকল দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও । দেশ ছাড়ার পর তিনি বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন। পহেলগামের ঘটনাকে তিনি ‘মানবসভ্যতার বুকে ক্ষত চিহ্ন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
পহেলগামের ঘটনায় যারা বরাত জোরে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা দাবি করেছেন, বেছে বেছে হিন্দুদের মারা হয়েছে। গুলি চালানোর আগে জঙ্গিরা তাঁদের নাম জিজ্ঞেস করেছিল বলে জানিয়েছেন আহতরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি পহেলগামের এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘কাশ্মীরে যে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে তা মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার প্রধানতম অন্তরায় এবং মানবসভ্যতার বুকে ক্ষত চিহ্ন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবিক সমাজ গড়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় সমর্থন বজায় রাখবে।’
হাসিনা নিহতদের স্মরণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গড়ে তোলার মাধ্যমে মানবিক সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব গড়ে বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। আমরা নীতিগতভাবে এ ধরনের জঙ্গি-সন্ত্রাসী মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি।’ প্রসঙ্গত পহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই জঙ্গি হামলার কোনও সংযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোহরে বসে সন্দেহজনক কথাবার্তা! গভীর রাতে রহস্যজনক রেডিয়ো সঙ্কেত
২৬ জন খুন হওয়া পর্যটকদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং যাতে কোনও ভুল না হয় সে কারণে পহেলগাওয়ের ওই জায়গা বারবার রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দারা এও মনে করছেন, হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সইফুল্লা কসুরি, যে আবার লস্করের ডেপুটি চিফ, সে এই হামলার মূল কারিগর। বেশ কয়েকদিন আগে সে-ই ৫-৬ জনকে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং হামলার জন্য যা যা দরকার তার ব্যবস্থা করে দেয়।