বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল, এখন দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর ইস্তফা নিয়ে কম জলঘোলা বা জল্পনা হয়নি। তবে এবার জগদীপ ধনখড় চর্চায় অন্য কারণে। তিনি আবেদন জানালেন পেনশন চালু করার। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নয়, চাইলেন বিধায়ক পেনশন।
জানা গিয়েছে, রাজস্থান বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য হিসাবে জগদীপ ধনখড় পেনশনের আবেদন করেছেন। রাজস্থান বিধানসভা সেক্রেটারিয়েটের তরফেও জানানো হয়েছে যে জগদীপ ধনখড়ের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শীঘ্রই পেনশন শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার, ড্রাগ মাফিয়াদের দাপাদাপিতে জনতার চাপে চেয়ারম্যান
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের কিসানগড়ের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন জগদীপ ধনখড়। ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তিনি বিধায়কের পেনশন পেয়েছেন। এরপরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়। তখন পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে উপরাষ্ট্রপতি হন তিনি।
গত ২১ জুলাই হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। এরপরই তিনি রাজস্থান বিধানসভার সেক্রেটারিয়েটে পুনরায় বিধায়ক পেনশন চালু করার আবেদন জানান। যেদিন থেকে তিনি উপরাষ্ট্রপতির পদ ছেড়েছেন, সে দিন থেকেই এই পেনশন পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য আন্দোলন, ১৯৫৯ ক্ষুধার যন্ত্রণা
রাজস্থানে যদি কেউ একবারের বিধায়ক হন, তবে প্রাক্তন বিধায়কদের প্রতি মাসে পেনশন হয় ৩৫ হাজার টাকা। ৭০ বছরের বেশি হলে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত পেনশন পান। ৭৪ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড় প্রতি মাসে ৪২ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।
এছাড়াও তিনি লোকসভার একবারের সাংসদ হিসাবে ৪৫ হাজার টাকা পেনশন পান। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা পেনশন পাবেন তিনি। এর পাশাপাশি সরকারি বাসভবন, কর্মী ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে কোনও পেনশন পান না তিনি। যদিও সেক্রেটারিয়াল অ্যাসিস্টেন্স বাবদ ২৫ হাজার টাকা চাইতে পারেন।



