কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
পশ্চিম সিকিমের রিম্বি এলাকার ইয়াংথাঙে গভীর রাতে ভয়াবহ ধস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চারজন। এখনও নিখোঁজ কয়েকজনের খোঁজ মেলেনি। এলাকায় উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
গেজিংয়ের পুলিশ সুপার শেরিং সেরপা জানিয়েছেন, ধস নামার পর ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ভর্তি আছেন স্থানীয় হাসপাতালে। এখন ঠিক কেমন আছেন, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ‘শক্তি’ ফুরিয়েগিয়েছিল! শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে গেল ট্যাঙ্কার
পুলিশ জানিয়েছে, ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছন তাঁরা, সঙ্গে যায় এসএসবি জওয়ানদের একটি দল। স্থানীয়দের সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন ততক্ষণে মারা গেছিলেন। জীবিত উদ্ধার হওয়া দু’জনের মধ্যে এক জনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এখনও তল্লাশি এবং উদ্ধারের কাজ চলছে। কেউ ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে কি না তা দেখার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুনঃ হাজার হাজার টাকা লাভ…! চওড়া কৃষকদের মুখে মুখে
বর্ষার শুরু থেকেই উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বন্যা ও ধসের দাপট অব্যাহত। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা শোচনীয়। রোজই কোনও না কোন এলাকা ধসে যাওয়ার পর জলে তোরে ভেসে যাওয়ার খবর সামনে আসছে। এই পরিস্থিতির জন্য পরিবেশ নিধনকেউ দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সতর্ক করার পাশাপাশি নোটিসও পাঠিয়েছে কয়েকটি রাজ্যকে।
এদিকে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে। ফলে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।