কৌশিকী অমাবস্যা অথবা বিশেষ তিথি ছাড়াও প্রতিদিন বীরভূমের অন্যতম শক্তিপীঠ তারাপীঠে হাজার হাজার পর্যটক ভক্তরা আসেন। তবে এবার তারাপীঠে যারা তারা মায়ের দর্শন অথবা ঘুরতে আসছেন তাদের একটি খবর জানতেই হবে। যে খবরটির কথা বলা হচ্ছে সেটি না জানলে মহা সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাদের।
আরও পড়ুনঃ অশ্বিনী নক্ষত্রে ধ্রুব যোগ, কৃষ্ণা চতুর্থীতে ভাগ্য প্রসন্ন হবে এই চার রাশির
আসলে বীরভূমের তারাপীঠের ব্যবসায়ীরা ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেন করতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, প্রতারণার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই সেটি ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ ইতিমধ্যেই সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন তারাপীঠের প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী। নন্দেশ্বর মন্ডল নামে মদ ব্যবসায়ী ও হোটেল ব্যবসায়ীর সাত থেকে আটটি ভিন রাজ্য থেকে সাইবার মামলা শুরু হয়েছে, এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
সাইবার প্রতারণা নিয়ে বিরক্ত গোটা দেশের মানুষ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র, পর্যটনকেন্দ্র বীরভূম জেলার তারাপীঠের ব্যবসায়ীরা নিয়েছেন এই বিশেষ সিদ্ধান্ত। তারা সমস্ত ধরণের ইউপিআই পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। হোটেল ব্যবসায়ী, মুদিখানা, মাংসের দোকান, সবজি দোকান, মদের দোকান সকল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে অনলাইন পেমেন্টে সাইবার অপরাধ বাড়ছে তাতে তারা বিরক্ত এবং ভীত। তাই তারা সমস্ত ধরণের ইউপিআই লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারাপীঠে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তারা এখন থেকে শুধু নগদ এবং ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করবেন।
আরও পড়ুনঃ তেতেপুড়ে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ; আজই বদলাবে পরিস্থিতি!
জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতারণা করে তারাপীঠে আসছেন প্রতারকরা, তারপর তারা প্রতারণার টাকা দিয়ে UPI-এর মাধ্যমে QR কোড স্ক্যান করে কেনাকাটা করছেন। আর কার্যত এর ফলেই বিপদ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। প্রতারণার টাকা ঢুকলেই ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফ্রিজ হয়ে যায়, আর সেভিংস অ্যাকাউন্ট হলে গোটা অ্যাকাউন্টটাই। আর এসবের ফলেই তারা আর এবিষয়ে কোনও ঝুঁকি আর নিতে রাজি নন।