কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বর্তমান জীবনে প্রতিষ্টিত সন্তুষ্ট নিজের এবং নিজের পরিবারকে নিয়ে। এক ভবঘুরে মহিলার জন্য চিন্তিত তিনি। যার কথা বলা হচ্ছে ওই মহিলার বর্তমান আস্তানা, শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চের ঠিক পিছনের দিকে।
আরও পড়ুন: কঠোর নিরাপত্তা! জগন্নাথ মন্দির চত্তরেই পুলিশ ফাঁড়ি
মাটিতেই কোনোভাবে বস্তা আর চাদর বিছিয়ে তার একার সংসার চলে, যিনি আবার দশ টাকা দেখলে ভয় পান, কিভাবে তার খাবার জোগাড় হয় কারুর জানা নেই , খোঁজ রাখে না কেউ। হয়তো কোনোভাবে সকালেরটা জোগাড় করে বিকেলের জন্য রেখে দেন ওই মহিলা। কিছুটা জানা গেছে, একেবারেই সহায় সম্বলহীন মহিলা তিনি, পরিবারের লোকজন নেই বললেই ধরা হচ্ছে, সারাদিন ওখানেই শুয়ে থাকেন ঐ মহিলা, দয়া বসত হয়ে কেউ যদি কিছু দিয়ে যান, তবেই তার চলে। বছর তিনেক ধরেই তার ঠিকানা ওই একটাই জায়গা। মাঝে মাঝে চলে যান আবার ফিরে আসেন, ওইখানেই শিলিগুড়ির একটি নামকরা সরকারি স্কুল আছে যেটা মেয়েদের, মেয়েদের মধ্যেও অনেকে তাকে দেখে দয়া করে টাকা এবং খাবার দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আকর্ষণ সেই সানডে হাট; নেপথ্যে ভারতের পর্যটনের মহীরুহ রাজ বাসু
তবে অনেকেই এখন জানিয়েছেন প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে যারা এই কাজগুলো সঠিকভাবে করে, এই ধরনের ভাবঘুরেদের আশ্রয় দেয়। ওই ভদ্রলোকের মত ওই এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন একটু পাশে থাকলেই ওই মহিলার একটা গতি হয়ে যায়, এভাবে দিনের পর দিন না খেয়ে আধপেটা থাকলে দুদিন পরেই তো অসুস্থ হয়ে পড়বে সে, বিভিন্ন এনজিওর সাথে যোগাযোগ করে কেউ যদি তাকে পৌঁছে দেয় সঠিক ঠিকানায়, তবে কিছুটা হলেও যেন তার শান্তি এবং স্বস্তি থাকবে। একটা মানুষ জীবন্ত একটাই, কেউ খুশিতে থাকে, কেউ আনন্দে কাটায় আবার কেউ এই ধরনের জীবন যাপন করে। একটু সাহায্য পেলে হয়তো এ জীবনটা একটু হলেও অন্যরকম হতে পারে তাদের।