উৎসবের মরশুমে দেশের মা-বোনেদের বড় উপহার কেন্দ্রের। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে দেওয়া হবে আরও ২৫ লক্ষ নতুন রান্নার গ্যাসের সংযোগ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যাদের বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছয়নি, উনুনের ভরসাতেই রান্না করতে হয়, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তারা দারুণ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা; Google, Microsoft-কে টেক্কা ভারতীয় অ্যাপ Zoho-র
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষেই (২০২৫-২৬) এই ২৫ লক্ষ এলপিজি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হবে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় মোট গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে ১০.৫৮ কোটিতে পৌঁছবে। এই নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের খরচ হবে ৬৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫১২.৫ কোটি টাকা খরচ হবে ২৫ লক্ষ ডিপোজিট ফ্রি রান্নার গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ প্রতি গ্যাস সংযোগ পিছু সরকার ২০৫০ টাকা করে খরচ করবে। বাকি ১৬০ কোটি টাকা খরচ করা হবে সাবসিডি দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, উজ্জ্বলা যোজনায় কোনও ডিপোজিট ছাড়াই নতুন এলপিজি সিলিন্ডার কানেকশন পাওয়া যায়। এরসঙ্গে প্রেসার রেগুলেটর, সুরক্ষা হোস, ডোমেস্টিক গ্যাস কনজিউমার কার্ড বুকলেট পাওয়া যায়। স্টোভ ও প্রথম সিলিন্ডারও নিখরচায় পাওয়া যায়। এর জন্য এক টাকাও দিতে হয় না গ্রাহককে।
আরও পড়ুনঃ সম্পর্কে থাকবেন, কিন্তু বিয়ে করবেন না; হৃত্বিককে নিয়ে বিস্ফোরক নায়িকা
গ্রাহকরা নিজেদের প্রয়োজন মতো ১৪.২ কেজির সিঙ্গল কানেকশন, ৫ কেজির সিঙ্গল কানেকশন বা ৫ কেজির ডাবল কানেকশন বেছে নিতে পারে। এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর ৯টি রিফিল সিলিন্ডার পাওয়া যায়। ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার পিছু ৩০০ টাকা করে ভাতা পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের বালিয়া থেকে উজ্জ্বলা যোজনার সূচনা করেছিলেন। প্রথম ধাপে ৫ কোটি সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তা ১০ কোটি গ্রাহক সংখ্যা ছুঁতে চলল।
উজ্জ্বলা যোজনায় ফ্রি কানেকশন পেতে নথি লাগবেঃ
পরিচয়পত্র হিসাবে-
- আধার কার্ড (মহিলা আবেদনকারীর জন্য)
- ভোটার আইডি কার্ড
- প্যান কার্ড
- বাসস্থানের প্রমাণ
- রেশন কার্ড (বিপিএল অথবা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর)
- আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ/জল/গ্যাস বিল
- আবেদনকারীর আবাসিক শংসাপত্র বা
- পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
- ব্যাঙ্ক পাসবুক বা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (আবেদনকারীর নামে)
- আইএফএসসি কোড সহ অ্যাকাউন্ট নম্বর
- দারিদ্র্য রেখা এবং সামাজিক শ্রেণীর শংসাপত্র
- বিপিএল শংসাপত্র বা অন্ত্যোদয় কার্ড, সমাজকল্যাণ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত শংসাপত্র
- তফসিলি জাতি/উপজাতির শংসাপত্র
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি (মহিলা আবেদনকারীর জন্য)
- জন্ম শংসাপত্র/বয়স প্রমাণপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- আগে থেকে এলপিজি সংযোগ না থাকার স্ব-ঘোষণাপত্র