Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeগল্পShort Story: "অভিশপ্ত মৃত্যু"

Short Story: “অভিশপ্ত মৃত্যু”

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

“অভিশপ্ত মৃত্যু”

  সূর্য্যকান্ত চৌধুরী

মৃত্যুর আগে শেষ পর্যন্ত শান্তপুর গ্রামে নিজের জন্মভূমি ও পিতৃভিটায় স্থান নেয় খুনি মলয় বাড়ুজ্জ্যে। দাদাকে হঠাৎ করে এত বছর পর ফিরে আসতে দেখে দুই বোন মাটির ঘরে তালা দিয়ে ঘর ছাড়ে। অসহায় হয়ে লোকটি মাটির বারান্দায় স্থান পায়। আজ সে একা, বড় অসহায়।  শেষ পর্যন্ত লোকের বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করে মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করে দিন চালায়।

“কিছু ভিক্ষা দাও মা, আমি খেতে পায়নি। দাও মা দাও। ”  ডান হাত আর ডান পা অবশ, মলয়ের সম্বল একটা শক্ত লাঠি।  মুখে ছুরির কাটা দাগ, মোটা পাকানো গোঁফ, এক মাথা চুল। গলার স্বর কর্কশ আর গম্ভীর। ভয়ঙ্কর মুখমন্ডল। শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিরা ভয়ে সেইখান থেকে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Tripura: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

“দিচ্ছি।” এই বলে দয়াময়ী রমনী  হাতে একটা বাটিতে করে চাল এনে মলয়ের থলিতে দূর থেকে দিয়ে পালিয়ে যায়।

আবার কেউ কেউ বলে, “আজ নয় অন্যদিন এসো।”

ধীরে ধীরে মলয়ে ডান হাত আর ডান পা পোকায় ভরে যায়, যন্ত্রণায় সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারের শব্দে কেউ কেউ দয়া করে তাকে দেখতে যায় আর কিছু সাহায্য করে।

একদিন শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। অনাহারে অযত্নে সে মারা যায়। সেই স্থান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তাই দেখে গ্রামের লোকেরা জড়ো হয়ে মৃত দেহটার সৎগতির জন্য চার- পাঁচ জন মদ খাইয়ে সেইখান থেকে নিয়ে পোড়ানোর ব্যবস্থা করে।

আরও পড়ুন: Valentine’s Day: পরপুরুষের সঙ্গে স্ত্রীয়ের প্রেম, পরকীয়া নয়! আদালতের বেনজির পর্যবেক্ষণ

সেই মৃতদেহটা চার-পাঁচজন টেনে পাহাড়ের তলায় নিয়ে গিয়ে মুখে আগুন দেয়।

খুনি মলয়ের গল্প এক বয়স্কা রমনী গল্পের আসরে সবাইকে বলে শুনায়, “মলয় এমনি এমনি মরেনি, অনেক পাপ করেছে তাই সে মরেছে। মাতৃ- হত্যা কম পাপ নয়। সে নিজের মায়ের বুকে পা রেখে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মেরেছে। তারপর কোলকাতায় পালিয়ে গিয়ে গুন্ডা হয়েছে। কত যে খুন করেছে আর কত মায়ের কোল উজাড় করেছে একমাত্র ভগবান জানে। আর ভগবান আছে বলেই সেই হাত- পা অবশ হয়ে তাকে এখানেই রেখে গেছে।  আর এই ভিটেয় তাকে শেষ পর্যন্ত কষ্ট করেই মরতে হলো।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন