গত বছর ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগ অবশ্য পালাবদলকে কখনই গণঅভ্যুত্থান বলে মানেনি। শেখ হাসিনা ও তাঁর দল বরাবরই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেছে। পালাবদলের বর্ষপূর্তিতে আওয়ামী লিগ বিরোধীরা যখন গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপনে শামিল হয়েছে তখন শেখ হাসিনার দল ৫ অগস্টে গণতন্ত্র ও ছাত্র-জনতা-পুলিশ হত্যা দিবস পালন করবে।
আওয়ামী লিগ প্রথম থেকেই পুলিশের প্রতি সমব্যথী। গণ-অভ্যুত্থানের সময় চারশোর বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে এবং তিন হাজার পুলিশ কর্মী খুন হয়েছেন বলে দাবি আওয়ামী লিগের। হাসিনা গত এক বছরে কয়েকশো পুলিশ কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে হাসিনার। তিনি বাংলাদেশ সেনার অত্যাচারকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনার সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করেন। আওয়ামী লিগের ৫ অগাস্টের কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রতি তাদের আাস্থা অটুট।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বাংলাদেশ পুলিশ দিন দুই আগে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পুলিশ কর্মীদের যেন ক্ষমা বা দায়মুক্ত করা না হয়। প্রত্যেক নিহত পুলিশ কর্মীর হত্যাকারীর সাজা দাবি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে পুলিশ দাবি করেছে রাজনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায় থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।
এই প্রেক্ষাপটে ৫ অগস্ট রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগ এখনও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করে। ওই দিন দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের রাষ্টপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসও।
আরও পড়ুনঃ অন্ধবিশ্বাস, কালাজাদু! নৃশংসভাবে খুন, কেটে নেওয়া হল পুরুষাঙ্গ! জলে যুবকের দেহ
ওই দিনের ভাষণে হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলবেন বলে আওয়ামী লিগ নেতৃত্ব রবিবার জানিয়েছে। আওয়ামী লিগের প্রত্যাবতর্ণের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, পতিত স্বৈরাচার অর্থাৎ আওয়ামী লিগ যে কোনও সময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে পারে। ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগের ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হবে হাসিনার ভাষণ।
