পর্যটকদের কাছে এই মুহূর্তে বালি ইন্দোনেশিয়া ট্যুর ভীষণভাবে জনপ্রিয়। বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে যে জায়গাগুলির নাম তালিকায় থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বালি, ইন্দোনেশিয়া। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে বালি, ইন্দোনেশিয়াতে প্রায় ৬৫ লক্ষেরও বেশি পর্যটক এসেছেন। কিন্তু সম্প্রতি এক ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে বালি ইন্দোনেশিয়াতে নাকি প্রেমিক-প্রেমিকা বেড়াতে গেলে তাঁদের ব্রেকআপ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। এই ধারণা ঠিক কতটা সত্যি?
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে নতুন ‘বিপদ’, উধাও ২০ লক্ষ টাকা; রাত হলেই বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস কাটার নিয়ে
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে অতিথি ও সঞ্চালককে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁদের। এমনকি ভিডিওতে তাঁদের আলোচনা শুনে সেখানে রীতিমতো নেটিজেনরা কমেন্ট করে জানিয়েছেন যে হ্যাঁ এই তথ্য একেবারেই সত্যি। কেউ কেউ সেখানে কমেন্ট করেছেন, ‘আমি মধুচন্দ্রিমায় আমার স্বামীর সঙ্গে বালি ইন্দোনেশিয়াতে গিয়েছিলাম। বিয়ের ছ’মাস পর আমার বিচ্ছেদ হয়।’, আর একজন লিখেছেন, ‘আমি ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে গিয়েছিলাম আমার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর আমাদের সত্যিই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে একই সঙ্গে আমার তারপর আমার বর্তমান স্বামীর সঙ্গেও পরিচয় হয়। যেটা অত্যন্ত পজিটিভ একটা দিক।’
বালি, ইন্দোনেশিয়ার নির্দিষ্ট কোন জায়গায় গেলে এমনটা ঘটছে? শোনা যাচ্ছে, বালি ইন্দোনেশিয়ার তানহা লট মন্দিরেই নাকি এমনটা ঘটে। যদিও এই জায়গা পর্যটকদের মূল আকর্ষণের কেন্দ্র। সমুদ্রবেষ্টিত এই জায়গায় হাতে হাত রেখে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে রোম্যান্টিকতায় বুঁদ হন প্রেমিক-প্রেমিকা ও অন্যান্য পর্যটকরাও। আর এই জায়গায় যাওয়ার ছ’মাস পরই নাকি ভেঙে যায় যাঁরা এই স্থানে যান তাঁদের সম্পর্ক। কিন্তু কেন ঘটে এমনটা? কথিত এক জাভা রাজপুত্র ও রাজকুমারীর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা দু’জন নাকি ষোড়শ শতকে নির্মিত মন্দির তানহা লটে এসেছিলেন ভালো সময় কাটাতে। কিন্তু সেখানে এসে সেই রাজপুত্র ওই রাজকুমারীকে ঠকিয়ে তাঁকে একা রেখে দিয়ে ওই জায়গা থেকে চলে যান। তারপর থেকেই নাকি ভাঙা হৃদয়ে ওই রাজকুমারী ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি অভিশাপ দিচ্ছেন। যে কোনও অবিবাহিত দম্পতি ওই জায়গায় বেড়াতে এলেই তাঁদের ছ’মাসের মাথায় সম্পর্ক ভেঙে যাবে।’ আর তারপর থেকেই সকলে বিশ্বাস করেন বালি ইন্দোনেশিয়ার এই ব্রেকআপ অভিশাপ। অনেকে আবার এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও দাবি করেন।