Tuesday, 14 October, 2025
14 October
HomeদেশNarendra Modi: 'সরকারি কর্মী 50 ঘণ্টা জেলে থাকলে সাসপেন্ড, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী নয় কেন?',...

Narendra Modi: ‘সরকারি কর্মী 50 ঘণ্টা জেলে থাকলে সাসপেন্ড, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী নয় কেন?’, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীর অপসারণ নিয়ে বিরোধী শিবিরকে কড়া আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

একজন সরকারি কর্মী 50 ঘণ্টা জেলে থাকলে, তাঁর চাকরি চলে যায় ৷ তিনি একজন পিওন, ড্রাইভার বা কেরানি- তিনি যেই হোন না কেন ৷ এদিকে একজন মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এমনকী প্রধানমন্ত্রী জেলে থেকেও সরকার চালাতে পারেন ? মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীর অপসারণ নিয়ে বিরোধী শিবিরকে কড়া আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷

শুক্রবার বিহারের গয়ায় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী অপসারণ বিল থেকে শুরু করে আরও একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ গত 20 অগস্ট বিতর্কের মধ্যে লোকসভায় তিনটি সংশোধনী বিল- সংবিধান সংশোধন বিল (একশো ত্রিশতম সংশোধন) 2025, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল 2025, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধন) বিল 2025 পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এই বিলগুলিকে সংবিধান বিরোধী বলে দাগিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা ৷

এই বিলগুলির একটিই উদ্দেশ্য- গুরুতর ফৌজদারি মামলায় কোনও মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার বা আটক করে 30 দিন জেলে রাখা হলে 31 তম দিনে তাঁকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা যাবে ৷ এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে তুমুল হইচই বাধে লোকসভায় ৷ তারই মধ্যে তিনটি বলি পেশ করে সেগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব পাশ করেন শাহ ৷

আরও পড়ুনঃ বাংলায় মহা-ইভেন্ট; মোদীর মুখে কলকাতার ওলিগলির ঐতিহ্য

এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি এই আইনের বিরোধিতা করছে ৷ ওরা ক্ষুব্ধ ৷ কেউ জানে না, কেন ভয় পাচ্ছে ? ওদের মনে হচ্ছে, ওরা জেলে যাবে ৷ আর সব স্বপ্ন ছারখার হয়ে যাবে ৷ এই আইন জনস্বার্থে ৷”

তিনি দাবি করেন তাঁর 11 বছরের সরকারে দুর্নীতির কোনও কালো দাগ নেই ৷ সাধারণ সরকারি কর্মচারীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন সরকারি কর্মচারী 50 ঘণ্টা জেলে বন্দি থাকলে তাঁর চাকরি চলে যায় ৷ তিনি গাড়িচালক, কেরানি বা পিওন- যেই হোন ৷ কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীও জেলে থেকে সরকার চালাতে পারে ৷ কয়েক দিন আগে আমরা দেখেছি, কীভাবে জেলে থেকে ফাইলে স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং কারাগারে থেকে সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ নেতাদের যদি এরকম ভাবভঙ্গি থাকে, তাহলে আমরা দুর্নীতির মোকাবিলা করব কী করে ? এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে ৷ প্রধানমন্ত্রীও এই আইনের আওতায় ৷”

প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর শাসনকালের সঙ্গে পূর্বতন কংগ্রেস জমানার তুলনা টানেন ৷ সেই সময়ে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে বলে উল্লেখ করেন ৷ আরজেডি-র বিরুদ্ধে ওঠা জালিয়াতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আরজেডি-র দুর্নীতির কথা রাস্তার লোকজনেরও অজানা নয় ৷”

তাঁর বক্তব্য, “তাই আমরা একটি নয়া আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ যেখানে দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রী এমনকী প্রধানমন্ত্রীকেও তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে ৷ একজন নিচুতলার কেরানি সামান্য সময় জেলে থাকলে তাঁকে সাসপেন্ড করতে হয় ৷ কিন্তু আমরা এই কঠোর আইন আনার প্রস্তুতি নিতেই আরজেডি, কংগ্রেস আর বাম দলগুলি ক্ষেপে উঠেছে ৷ কারণ, ওরা ওদের নিজেদের পাপের শাস্তি পাবে বলে ভয় পাচ্ছে ৷”

বিরোধী শিবিরকে দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ করে মোদি বলেন, “কংগ্রেস ও আরজেডি ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের কাছে জনগণের টাকা থাকত ৷ তাই তারা কোনও প্রজেক্ট শেষ করতে পারত না ৷ অনেক সময় লাগত ৷ উল্টো দিকে আমি আজ যে সেতু উদ্বোধন করছি, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম কয়েক বছর আগেই ৷”

আরও পড়ুনঃ ‘কলকাতায় এক ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে সম্ভব হল, আবার পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হলাম’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

অনুপ্রবেশের সমস্যা নিয়ে মোদির বক্তব্য, “আমাদের দেশ আরও একটা বিপদের মুখোমুখি, সেটা অনুপ্রবেশ ৷ আমি স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সেটা নিয়ে বলেছি ৷ আমাদের দেশের সম্পদ তারা নিয়ে নেবে এটা হতে পারে না ৷ তাই আমি একটি ডেমোগ্রাফি মিশনের বার্তা দিয়েছি ৷ কিন্তু কংগ্রেস ও আরজেডি তাদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এই অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চায় ৷”

কংগ্রেস বিহারবাসীর প্রতি অসংবেদনশীল ৷ এই অভিযোগ করে গয়ার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের এক মুখ্যমন্ত্রী একটি জনসভায় বলেছেন, বিহারের কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁর রাজ্যে ঢুকতে দেবেন না ৷ আর তাদের জোটসঙ্গী আরজেডি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ এই ধরনের অপমানের জবাবটুকুও দিতে পারেনি ৷”

এদিন বিহারে 13 হাজার কোটিরও বেশি মূল্যের উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্য়মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি ৷ এদিন তিনি গয়া থেকে দিল্লীগামী অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন ৷

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন