লোকে লোকারণ্য! অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য লগ্নে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গিয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প নিয়ে তিনি আগেই আশা রেখেছিলেন, ভগবানের দর্শনে ভক্তদের ঢল নামবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নই সত্যি হচ্ছে। সৈকত শহরে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে রীতিমতো।
আরও পড়ুন: দুই শতকের রীতি, বৈশাখ মাসে আজও বাজে পুজোর বাদ্যি আমোদপুরে
ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারামণ দাস জানিয়েছেন শনিবার পর্যন্ত মাত্র চার দিনেই জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষের গন্ডি ছাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, সকল ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের জন্য দিঘার মন্দিরের দরজা খোলা রেখেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রোজ সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকছে।
আরও পড়ুন: ভানু সপ্তমীতে সারাদিন রবি পুষ্য যোগ, আর্থিক দিক থেকে মালামাল হবে এই চার রাশি
দর্শনার্থীরা কথায়, মন্দিরের ভিতরে পুজো-ব্যবস্থার সুষ্ঠু ও সুব্যবস্থা থাকার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়েও অপেক্ষা করতে হচ্ছে নক কাউকে। একই সাথে রয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থাও। সবমিলিয়ে ৪ দিনেই যখন ১০ লক্ষ পুণ্যার্থীকে টেনে নিয়ে এসেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, তখন আগামী দিনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়তে পারে বলেই
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই গঠনশৈলী থেকে পুজো, ভোগ নিবেদন সবকিছু
অযোধ্যার রামমন্দিরের মতো এই মন্দিরও ‘সম্পরা’ ঘরানায়
মন্দির নির্মিত রাজস্থানের ‘সম্পরা’ ঘরানায় গোলাপি বেলেপাথরে
দিঘার মন্দির নির্মাণে কমবেশি ৮০০ কারিগর
পুরীর আদলে দিঘার মূল মন্দিরেও চারটি প্রবেশ দ্বার
মন্দিরের সিংহদ্বারের সামনেই নজর কাড়বে কালো রঙের অরুণ স্তম্ভ
কালো পাথরে তৈরি হয়েছে ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ
সিংহদ্বারের বিপরীতে ব্যাঘ্রদ্বার, উত্তরে হস্তিদ্বার, দক্ষিণে অশ্বদ্বার
মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ চারটি দ্বারের ভোগ মণ্ডপ
রয়েছে ১৬ স্তম্ভের উপরে নাটমন্দির
পুরীর মন্দিরের মতোই লক্ষ্মী মন্দির
জগন্নাথের ভোগ রান্নার জন্য পৃথক ভোগশালা
পুরীর মন্দিরের মতোই রোজ মন্দিরের চূড়ায় নিয়ম মেনে ধ্বজা পরিবর্তন
মূল মন্দিরের সিংহাসনে রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি