কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগেই ছিল। সেই মতো ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে শুরু হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টি। রাত থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি নদী ডায়নাতে বাড়লো জল। গর্জন করছে নদী। জলের স্রোতে ভেসে গেল অস্থায়ী বাঁধ। কার্যত সমস্যায় নদীর ড্রেজিং কাজ। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল রাজ্য সরকার ও সেচ দফতর। ভুটান পাহাড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দুশ্চিন্তায় নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা। আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরের পাঁচ জেলায়। তেমনি ইঙ্গিত দিয়েছিল ভুটান আবহাওয়া দফতরও। পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টি হলেই জল নেমে আসে ডুয়ার্সের ডায়না, জলঢাকা এবং খানা নদী দিয়ে। বিগত দিন প্লাবিত হয়েছিল বানারহাট এবং নাগরাকাটা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই এবার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন এবং সেচ দফতর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম! মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার
সরকারি উদ্যোগে ডায়না নদীতে শুরু হয়েছে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও নদীর গতিপথ ঠিক করার কাজ। নদীর একপাশে রয়েছে খেরকাটা জঙ্গল। অন্য পাশে রয়েছে কলাবাড়ি এবং খেরকাটা বস্তি এলাকা। অতি ভারী বৃষ্টি হলে বিগত দিনে এই এলাকাগুলিতে জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে যেত। তাই তাই এবার আগেভাগেই প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। নদীর গভীরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গতিপথ ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে গত দু-দিন থেকে যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে ভুটান পাহাড় এবং ভুটান সীমান্ত লাগোয়া চামুর্চী ও বানারহাট ব্লকে। তাতেই জল বাড়তে শুরু করেছে ডায়না, খানাভর্তি ও কালুয়া নদীতে। পাহাড়ে বৃষ্টির জলে জল বেড়েছে নাগরাকাটা, জলঢাকা নদীতে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুমিছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে, জল বাড়ছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রে
এ দিকে, ডায়না নদীতে জল বাড়ায় মাঝেমধ্যে থমকে যাচ্ছে ড্রেজিং এর কাজ। নদীর দু’পাশে অস্থায়ী বাঁধ জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে বলে দাবি শ্রমিকদের। এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পুরোপুরি থমকে যেতে পারে কাজ আশঙ্কা শ্রমিকদের। আর যদি ড্রেজিং এর কাজ করা না হয় তাহলে প্লাবিত হতে পারে ডায়না নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলি।