কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতলে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। সারা সপ্তাহ জুড়েই টানা বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও সারা রাত ধরে বৃষ্টি হয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। ফুঁসতে শুরু করেছে মহানন্দা থেকে তিস্তা নদী। জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত। এ সবের জেরে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ি এলাকা থেকে সমতল— সর্বত্র ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাতেই একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে বেশ কিছু এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আরও পড়ুন: মাঝরাত থেকে বৃষ্টিতে ভাসলো শিলিগুড়ি
সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও মহানন্দা নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। প্রায় বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থায় বইছে উত্তরের বেশির ভাগ নদী। অন্য দিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ পাহাড় থেকে ভারী পাথর, বোল্ডার নেমে এসে ভেঙে গিয়েছে রাস্তার একাংশ। শ্বেতীঝোরা, সেলফিদারা, বিরিকদারা, লিকুভিড়-সহ একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটি মূলত কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার পথ। বিকল্প পথে সিকিম যেতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। ফলে ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। এখনও পাথর সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চালু হচ্ছে NBSTC-র এসি বাস; কোচবিহার-শিলিগুড়ি রুটে
আলিপুর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বর্ষণ (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। মাঝে দু’দিনের জন্য বৃষ্টির দাপট কমলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হবে। ওই দিন দার্জিলিং ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হবে। শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে বাকি জেলাগুলিতেও। আর তাতেই শঙ্কার মেঘ দেখছেন উত্তরবঙ্গবাসী। কারণ, সিকিমে ভারী বৃষ্টি হলে তিস্তা আরও বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। তিস্তার জল বিপদসীমা ছাপিয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি নজরে রাখছে সেচ দফতর।