পূর্বাভাস আগেই ছিল, বুধবার বেলা গড়াতেই তা সত্যি হল। ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’র প্রভাবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় নামল ঝেঁপে বৃষ্টি। সকাল ১০টা, সপ্তাহের এই সময়টা মূলত অফিস টাইম, বহু মানুষ থাকেন রাস্তায়। হঠাৎ বৃষ্টিতে তাই অনেকেই আটকে পড়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আজ সারাদিন আবহাওয়া এমনই থাকবে। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সঙ্গে ছাতা বা রেইনকোট রাখুন।
আরও পড়ুনঃ ঢাকুরিয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভয়াবহ আগুন, জরুরি নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা!
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’ মঙ্গলবার রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে। আবহাওয়া দফতর জানায়, কাকিনাড়ার কাছাকাছি মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টা ধরে চলে তার তাণ্ডব। ঝড়ের সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দুর্যোগে প্রাণহানিও হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তবে ‘মান্থা’ ইতিমধ্যেই শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার পরোক্ষ প্রভাবে বাংলার বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই সময় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
আরও পড়ুনঃ ‘মান্থা’র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড অন্ধ্র উপকুল, বিপর্যস্ত ওড়িশা
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে বলে পূর্বাভাস। বুধবার জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কিছু এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মান্থা অন্ধ্র উপকূল পেরিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হলেও তার প্রভাব আগামী কয়েক দিন বাংলার আকাশে বজায় থাকবে। ফলে রাজ্যের বহু জায়গায় ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত।





